কৌশিক দে সরকার: লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করেই বাঁচতে চাই। এই লড়াইয়ের নেত্রী কে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ছাড়া আবার কে! নেত্রীর দিক নির্দেশিকার অপেক্ষায় বাংলার ছাত্র সমাজ(Students Society of Bengal)। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে(General Election 2024) বিরোধীদের মহাজোট INDIA’তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে ছাত্র-যুবরা। বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেবে দেশের তরুণ প্রজন্ম। এমনটাই দাবি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের। আগামী ২৮ আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের(TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবস। ঠিক তার প্রাক্কালে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে সোশ্যাল মিডিয়াতে শুরু হয়েছে বিশেষ প্রচার কর্মসূচী, ‘দিচ্ছে ডাক এই আঠাশ’। ফেসবুক ও ট্যুইটারে জোর কদমে চলছে সেই প্রচার। আর সেই প্রচারে যে রীতিমত জোয়ার লেগেছে তার প্রমাণ ১ দিনেই ৮০ হাজারের ওপর রি-ট্যুইটের ঘটনা। এবিবার সকাল থেকে প্রচার শুরু হওয়া থেকে রবিবার রাত পর্যন্ত ৮০ হাজারের ওপর রি-ট্যুইট হয়েছে ‘দিচ্ছে ডাক এই আঠাশ’।
আরও পড়ুন বাংলার মৎস্যচাষীদের জন্য নতুন ৩টি প্রকল্প আনছে মমতার সরকার
আগামী ২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে কলকাতার ধর্মতলার মেয়ো রোডে সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও(Abhishek Banerjee)। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বলেছে, লোকসভা ভোটে বিজেপিকে হারাবে INDIA জোট। আর জোটকে শক্তিশালী করতে কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ বাংলার ছাত্র-যুবরা বিজেপির বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে। সেই লক্ষ্যেই বাছাই করা শব্দে জোর কদমে প্রচার চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর মধ্যেই সামনে এসেছে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা কবিতা। ‘রাষ্ট্র তোমার উদ্ধত তরবারি, আমরাও মিছিলে মানুষ জোটাতে পারি। আমাদের কথাটা যদি না বলতে দাও, বিরুদ্ধতার চাবুক ওঠাতে পারি। আমরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, আমরাই সঠিক দিশা দেখতে পারি!’
আরও পড়ুন আইন মেনে গ্রামে বাড়ি, Panchayat Building Rules আনছে রাজ্য
এর পাশাপাশি দিল্লি যাত্রারও ডাক দেওয়া হয়েছে এই প্রচার থেকে। বলা হচ্ছে, ‘আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে বলো, দিদি এবার দিল্লি চলো। ছাত্র যুব চেঁচিয়ে বলো দিল্লিতে এবার আওয়াজ তোলো। বিরোধীরা নির্মূল সারা বাংলায় তৃণমূল, ঘাসের ওপর জোড়াফুল, বাংলা বাঁচাবে তৃণমূল। ২৮ মানেই মনের জোর, ২৮ আনে নতুন ভোর। নেত্রীর আদর্শ, নেত্রীর জয়, INDIA হোক মমতাময়। ২৮ শে অগাস্টের অঙ্গীকার, বাংলার হিসেব বুঝে নেবার। দেশপ্রেমে ছাত্রসমাজ ছিনিয়ে নেবে জয়, যখন শিক্ষার প্রগতি পথ দেখায়। গতিধারা সবাই পাক, দিদি এবার দিল্লি যাক। ঐক্যশ্রী সবাই পাক, দিদি এবার দিল্লি যাক। ছাত্র পায় সবুজ সাথী, কন্যা পায় কন্যাশ্রী, যুব এর জন্য যুবশ্রী, শিক্ষার জন্য শিক্ষাশ্রী, তাই তো দিল্লিতে দিদিকেই চাই। ২৮ একটা আবেগের দিন, ২৮ এক আত্মবিশ্বাস, ২৮ মানে আগামীর কান্ডারী, ২৮ মানে জয়ের আশ্বাস।’