সুব্রত রায়:সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত রাজ্যে নিম্নচাপের দরুন দুর্যোগ চলবে। সপ্তমীর দুপুরে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, পুজোর ক’দিন দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই(South Bengal All Districts) বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। তবে সপ্তমীর দিন সবথেকে বেশি বৃষ্টি হতে পারে দুই মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। অপরদিকে অষ্টমী থেকে দশমী পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাশাপাশি পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর(West Medinipur) সহ রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে।
আবহাওয়া দফতর থেকে এই সতর্কবার্তা পাওয়ার পর সপ্তমী থেকে পুজোর দিনগুলিতে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা পুলিশ । ষষ্ঠীর রাতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সব পুজো কমিটিকে বজ্র বিদ্যুৎ দেখা দিলে এবং বৃষ্টি চলাকালীন রাস্তার ধারের আলোকসজ্জা বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাতে বৈদ্যুতিক কারণে কোন অঘটনা না ঘটে। নদিয়া(Nadia) জেলার কল্যাণীতে ষষ্টির রাতে একটি মন্ডপে শর্ট সার্কিট(Shot Circuit) এর ঘটনা ঘটার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সবকটি পুজো উদ্যোক্তাদের। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত যানজট(Traffic Jam) সামলানোর পাশাপাশি বৃষ্টি হলে বা জল জমলে যাতে কোন অঘটন না ঘটে ,তার জন্য বিশেষ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে সিইএসসি কর্মীদের। এর পাশাপাশি রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের কর্মীদেরও সতর্ক করা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগের কর্মীদের শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় আগাম পাম্প(Pump) নিয়ে মজুত রাখা হয়েছে। যাতে বৃষ্টি হয়ে জল জমলে অতি দ্রুত সেই জল সরানো সম্ভব হয়।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা জারি করে জানানো হয়েছে, নিম্নচাপের দরুন যখন বৃষ্টি হবে এবং বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হবে, সেই সময় দর্শনার্থীরা যেন খোলা আকাশের নিচে না থাকে ,নিরাপদ স্থানে সরে যায়। । তবে কলকাতা শহরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই । আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরো জানানো হয়েছে, এই নিম্নচাপের দরুন সমুদ্র উত্তাল হবে । তাই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। নবমী এবং দশমী তিথিতে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ করাযেতে পারে, ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি(Rain) এবং বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হলে দুর্গা প্রতিমা(Durga Pratima) দেখতে বেরোনো দর্শনার্থীরা চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হন । বহু মন্ডপের সামনে এবং বড় রাস্তায় ভারী বৃষ্টিতে জল জমে যায়। কলকাতা পুরসভার তৎপরতায় অতি দ্রুত জমা জল সরে যায়। কিন্তু বৃষ্টি হলেও খেদ পড়েনি প্রতিমা দেখার আনন্দে। নতুন জামা কাপড় পড়ে হাতে নতুন জুতো নিয়ে দর্শনার্থীদের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে দেখা যায়।
