এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

ডিএ কী নেবেন, আগে সম্পত্তি আর আয়ের হিসাব দিন

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য বা কেন্দ্র সরকারের কর্মচারি(Government Employee) মানেই তিনি ধোয়া তুলসি পাতা এমনটা মোটেও নয়। বরঞ্চ সরকারি কর্মচারী মাত্রই ঘুষখোর, এমনটাই দেশের আমজনতার একটা বড় অংশই মনে করেন। সেই ধারনা যে খুব ভুল তা জোর গলায় বলাও যায় না। কেননা নানান সময়ে এই সরকারি কর্মচারিদের মধ্যে থেকেই কেউ কেউ আয়কর দফতর বা কেন্দ্রের কোনও গোয়েন্দা এজেন্সি কিংবা রাজ্যের কোনও গোয়েন্দা এজেন্সির হাতে হাতেনাতে ধরা পড়েন কোটি কোটি টাকা সম্পত্তি সহ। যখনই এই ধরনের ঘটনা ঘটে তখনই তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংবাদমাধ্যমে। এবার বাংলার বুকে কয়েকশো সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখা(West Bengal Anti Corruption Bureau)। রাজ্যের সরকারি কর্মচারিরা যখন ডিএ(DA) মেটানোর দাবিতে আদালতে লড়াই চালাচ্ছেন তখন রাজ্য সরকারের এই পাল্টা অভিযান যে তাঁদের কিছুটা হলেও চাপে ফেলে দেবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

নবান্ন(Nabanna) সূত্রে জানা গিয়েছে, আয় বর্হিভূত সম্পত্তির মালিকানার অভিযোগে রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখার নজরে রয়েছেন রাজ্যের শতাধিক সরকারি কর্মচারী। ওই সব কর্মচারির মধ্যে যেমন রয়েছেন বিভিন্ন দফতরের পদস্থ আধিকারিকেরা, তেমনি রয়েছেন ডব্লুবিসিএস পদমর্যদার একাধিক আধিকারিকও। এদের বিরুদ্ধে তথ্য অনুসন্ধানের কাজ শুরু হয়েছে অনেক আগেই। এদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি সহ সম্পত্তির তালিকা যাচাই করার প্রক্রিয়াও অনেক আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ওই সব আধিকারিকদের মধ্যে ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে ডেকে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। এবার চলতি মাস থেকেই বাদ বাকিদের ডেকে তাঁদের সম্পত্তির হিসাব ও আয় জানতে চাওয়া হবে। দেখা হবে তাঁরা নিজে থেকে কতটা দেন। সেই হিসাব তদন্তকারীদের হাতে থাকা তথ্যের সঙ্গে মিললে ভাল, না মিললেই কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটা দেবে রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখা। সেক্ষেত্রে শুধু গ্রেফতারিই নয়, সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে এবং অবৈধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।

নবান্নের শীর্ষকর্তাদের কাছে বিভিন্ন দফতরের কর্মরত আধিকারিক ও কর্মচারীদের একাংশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসছিল। এরাই আবার ডিএ’র দাবিতে নানান সময়ে মিডিয়ার সামনে সোচ্চার হয়েছেন। কেউ কেউ আইনি লড়াইয়ে আর্থিক ভাবেও সাহায্য করেছেন। এরাই আবার সরকারি পদের অপব্যবহার করে বিভিন্ন সুযোগসুবিধা ভোগ করছেন। রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকেরা তদন্তে নেমে বুঝতে পেরেছেন যে রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের মধ্যে দুর্নীতির একটা চক্র তৈরি হয়েছে। পুলিসের একাংশও তাতে জড়িত। তাদের মধ্যে জেলার দায়িত্বে থাকা অফিসার এবং নিচুতলার কিছু কর্মী যেমন রয়েছেন তেমনি রয়েছেন কিছু আমলাও। নবান্নের তরফে এইরকম ১০০ জনেরও বেশি সরকারি কর্মচারীরর নামের তালিকা তুলে দেওয়া হয় রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকদের হাতে। ওই তালিকা ধরেই অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকেরা। দেখা যায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের লাইসেন্স ইস্যু করা, নো অবজেকশন সার্টিফিকেট প্রদান সহ আরও বেশ কিছু খাতে টাকা আদানপ্রদানের ঘটনা ঘটেছে। ওই তালিকায় থাকা আধিকারিকরা সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিতে অনেকদিন ধরেই রয়েছেন। কেউ কেউ বদলি হলেও আগের জায়গায় এখনও প্রভাব খাটিয়ে নানা অন্যায্য সুযোগসুবিধা নিচ্ছেন। কারও কারও বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে আগে থেকে।

রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে সন্দেহভাজনদের বেতন কাঠামো, জমা দেওয়া আয়করের পরিমাণ, সরকারিভাবে তাঁদের কোনও ঋণ দেখানো আছে কি না এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের আয়ের উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জোগাড় করা হয়। আয়কর রিটার্নের কপি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি সংগ্রহ করে সবটা খতিয়ে দেখা হয়। সেই সঙ্গে তালিকায় থাকা আধিকারিকদের বিগত পাঁচ-সাত বছরে ঠিক কতটা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ও ব্যাঙ্ক ব্যালান্স বৃদ্ধি পেয়েছে, সেই হিসেবও জোগাড় করেন দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকেরা। কারও কারও ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে শেষ ১০ বছরের তথ্য। সকলের জমিজায়গা ও সম্পত্তির দলিল সংগ্রহ করা হয় রেজিস্ট্রি অফিস থেকে। এমনকী, অলঙ্কার কিনে থাকলে সেই টাকা কীভাবে মিটিয়েছেন, কার নামে কিনেছেন, সেসব নথিও জোগাড় করা হয়। ২০২০ সালের পর থেকে এই নথি সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। তা শেষ করতেই বছর গড়িয়ে যায়। এরপর বছর দেড়েক ধরে অন্যান্য অনুসন্ধান চলে।

এখন ওই তালিকাভুক্ত কর্মচারীরা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক ব্যালান্স এবং অলঙ্কার মিলিয়ে যত সম্পদের মালিক হয়েছেন, তা তাঁদের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কি না, যাচাই চলছে। সেই কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি থাকলে বাড়তি টাকার উৎস কী, তাও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, যাঁদের আয় বর্হিভূত সম্পত্তি মিলবে, তাঁদের সম্পর্কে নবান্নে রিপোর্ট দেবে দুর্নীতি দমন শাখা। সেখান থেকে পরবর্তী নির্দেশ মোতাবেক পদক্ষেপ করবেন তাঁরা। তবে এই তদন্তের অভিমুখে আপাতত তাঁরাই যারা সামনে থেকে বা পিছন থেকে ডিএ নিয়ে বেশি সোচ্চার হয়েছেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিশ্ব হাসি দিবসে প্রকাশিত হল প্রয়াত অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌতুক নকশা

সোমবার থেকে বঙ্গে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা উধাও, ধেয়ে আসছে ঝড় – বৃষ্টি

শ্লীলতাহানির অভিযোগ: রাজভবনের কর্মীদের মুখ বন্ধের নির্দেশ রাজ্যপালের

সম্পত্তি হাতাতে ভাইকে পিটিয়ে খুন, নিউটাউনের বাড়ি থেকে উদ্ধার মৃতদেহ

‘সন্দেশখালি বিজেপি করেছে, সিপিএম আর কংগ্রেস ধুনো দিয়েছে’, দাবি কুণালের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর