নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের ভোটে চুরান্ত পরাস্ত হওয়ার পর ভবানীপুরে হার। এবার চার আসনে উপনির্বাচনের তিন আসনেই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিজেপির। এই রাজ্যে বিজেপির সাফল্যের হার ক্রমশই তলানিতে গিয়ে ঠেকছে। এই পরিস্থিতিতে পিঠ বাঁচাতে সন্ত্রাসকেই হাতিয়ার করলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। ভোটের এই ফলাফল নিয়ে তাঁর সাফাই, রাজ্যে সন্ত্রাসের আবহে ভোট হয়েছে। এই ফলই তার প্রমান। পাশাপাশি দিলীপবাবু বলেন, ‘এই উৎসবের সময় ভোট চাইনি আমরা’। যদিও দলের শীর্ষনেতার বিরুদ্ধে গিয়ে দলকেই এই ভরাডুবির জন্য দায়ি করলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। সবমিলিয়ে চরম অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি।
মঙ্গলবার চারটি আসনের উপনির্বাচনেই শুধু হারতে হয়নি বিজেপিকে, বরং তিন আসনে জামানত জব্দের লজ্জাও সহ্য করতে হচ্ছে নেতৃত্বকে। যার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এদিন দিলীপ ঘোষের সাফাই ছিল ‘এরপর ভোট হলে স্রেফ একটি দলই প্রার্থী দেবে, বাকিরা কেউ পারবে না। দিনহাটায় অত্যন্ত সন্ত্রস্ত আবহে ভোট হয়েছে। প্রচার করতে দেওয়া হয়নি, আমাদের কেউ গাড়ি ভাড়া দেয়নি। আগামী দিনে রাজ্যে কোনও গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকবে না। ১০০ শতাংশ ভোটই পাবে তৃণমূল’। আবার বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘পরাজয় মেনে নিচ্ছি। তবে আগামী দিনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে’।
ভোটের ফল নিয়ে এদিন মুখ খোলেননি শুভেন্দু অধিকারী বা নিশীথ প্রামাণিকের মতো নেতারা। কিন্তু চিরাচরিত ভাষায় মুখ খুলেছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। রীতিমতো চাছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বদের। তিনি টুইট করে লিখলেন, ‘দল দালালদের জন্য কোল পেতে দিয়েছিল। গলবস্ত্র হয়ে তাদের এনেছিল। যারা আদর্শের জন্য বিজেপি করত তাদের বলা হয়েছিল, এতবছর ধরে কি করেছেন, ছিঁ..ছেন ? আমরা আঠারোটা সিট এনেছি। জুলিয়াস সিজারের মতো Vini Vidi Vici। এখন ভাঁড়ামো করলে হবে ? আজকে বিজেপির শোচনীয় পরিণতি এই সবের জন্যই’। সবমিলিয়ে চিন্তায় বঙ্গ বিজেপি। আর বাংলায় বিজেপির এই ফল স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপির।