এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে সুপ্রিম কোর্টের পথে রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য সরকার বা রাজ্য নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টে(Supreme Court) যাবেই সেটা মোটামুটি আন্দাজ করেই নিয়েছিল বিরোধীরা। সেই কারণেই একদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari) যেমন সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করে দেন, তেমনি কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরীও ক্যাভিয়েট দাখিল করে দেন। এখন দেখা যাচ্ছে তাঁদের আশঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে। কেননা, কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন(Panchayat Election) কেন্দ্রীয় বাহিনী(Central Force) দিয়ে করানোর যে রায় দিয়েছে, সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাচ্ছে রাজ্য। রাজ্য সরকার(West Bengal State Election) ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন(West Bengal State Election Commission) যৌথ ভাবেই সেই মামলা দায়ের করতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে। সম্ভবত আগামী সোমবার সেই মামলার শুনানি হতে পারে। আইন বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই মামলায় ধাক্কা খেতে পারে কলকাতা হাইকোর্টের রায়।

আরও পড়ুন ‘স্বাস্থ্যসাথী কে দেবে পঞ্চায়েতগুলো না জিতলে!’ জনতাকে প্রশ্ন মমতার

কেন ধাক্কা খেতে পারে কলকাতা হাইকোর্টের রায়? আইন বিশেষজ্ঞদের দাবি, যদি একা রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করত তাহলে নিঃসন্দেহে সুপ্রিম কোর্টও কলকাতা হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখত। অর্থাৎ রাজ্যের ১৯টি জেলাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই ভোট করানোর নির্দেশ বহাল রাখত। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে একা রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করছে না। রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনও সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করছে। ভুললে চলবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক সংস্থা। আদালত সেই সংস্থার সিদ্ধান্ত চট করে নাকচ করে দেবে না। কেননা যে কোনও নির্বাচন নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আদালত সেখানে সাংবিধানিক কারণেই হস্তক্ষেপ করতে চায় না। কলকাতা হাইকোর্টে বিরোধীদের দায়ের করা মামলার জেরে যে রায় উঠে এসেছে তা দেখে অনেকেই মনে করছেন এই হস্তক্ষেপ অনভিপ্রেত।

আরও পড়ুন ‘মানুষকে তাঁর অধিকার ফিরিয়েছি যা সিপিএম হরণ করেছিল’, দাবি অভিষেকের

পাশাপাশি তাঁরা আরও একটি উদাহরণ টেনেছেন। সেটিও বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনেরই ঘটনা। ২০১৩ সালে রাজ্যের তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে চেয়েছিলেন। রাজ্য সরকার সেই সময় সেই সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত বিরোধিতা করেছিল। সেই মামলার জলও সুপ্রিম কোর্ট অবধিই গড়িয়েছিল। সেখানে কমিশনের ইচ্ছাকেই প্রধান্য দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এখানে ভুললে চলবে না, এখন বাংলার বর্তমান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা(Rajib Sinha) রাজ্য পুলিশের ওপরেই আস্থা রাখছেন এবং তাঁদের দিয়েই ভোট করাতে চাইছেন। কলকাতা হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ রাজ্যকে বহণ করতে না হলেও রাজীব সিনহা কেন্দ্রীয় বাহিনী চান না। একই সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের রায় ছিল, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। সেই রায় রবিবারের মধ্যে কার্যকর না হলে আদালত অবমাননার অভিযোগের মুকেহ পড়তে হতো রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। কিন্তু আগামিকাল অর্থাৎ শনিবারই উভয়পক্ষই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দাখিল করতে চলায় আর সেই আদালত অবমাননার দায়ে তাঁদের পড়তে হবে না। 

আরও পড়ুন ‘এত শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন এর আগে কখনও হয়নি’, দাবি মমতার

এখন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হবে কী হবে না এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে দায়ের করা হচ্ছে, সেই মামলায় রাজীব সিনহার সিদ্ধান্ত মূল্যবাণ হয়ে উঠতে চলেছে। রাজ্য কী চাইছে সেটা এই মামলায় কোনও গুরুত্ব নেই। কিন্তু গুরুত্ব পেতে চলেছে রাজীব সিনহার মতামত ও তাঁর ইচ্ছা। ঠিক ৫ বছর আগে একই ভাবে যে মামলায় গুরুত্ব পেয়েছিল মীরা পাণ্ডের অভিমত। যদি সেই অভিমতকে সুপ্রিম কোর্ট গুরুত্ব সেই সময় দিয়ে থাকে তো এইবারও রাজীব সিনহার মতামত গুরুত্ব পাবে। আর সেখানেই কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। সেক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তার ঘেরাটোপেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। বড্ড জোর ভিন রাজ্যের কিছু পুলিশ আসবে এই রাজ্যের ভোটে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

গার্ডেনরিচে ৯০ শতাংশেরও বেশি নির্মাণ নিয়ম বহির্ভূত

ঐতিহাসিক ১৩ মে, আজই আবার ভোট চতুর্থী, উজ্জীবিত তৃণমূল

তৃণমূলের নিস্ক্রিয় কর্মীদের সক্রিয় করতে উদ্যোগী সুব্রত বক্সী

১৫ মে’ র পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা কমবে, বাড়বে অস্বস্তিকর গরম

‘মুসলিমদের এতো নিচু করার কোনও কারণ নেই’, সংখ্যালঘুদের পাশে মমতা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর