নিজস্ব প্রতিনিধি: শেষ হল নবজোয়ার। আর সেই শেষের দিনে, শেষ জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) উপস্থিতিতে তিনি শোনালেন মানুষের হৃত অধিকার তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়ার কথা। শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার কাকদ্বীপে(Kakdwip) শেষ হয়েছে তৃণমূলের(TMC) নবজোয়ার কর্মসূচী। যা আদতে ছিল দলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) নিজস্ব কর্মসূচী। সেই কর্মসূচীর শেষ অনুষ্ঠানেই তিনি শোনালেন বাম জমানায় মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার গাথা। শোনালেন সেই অধিকার ফের মানুষের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার গাথা।
আরও পড়ুন ‘এত শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন এর আগে কখনও হয়নি’, দাবি মমতার
এদিন কাকদ্বীপের মঞ্চ থেকে অভিষেক বললেন, ‘৮০’র দশকে, ৯০-এর দশকে কীভাবে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হত আমরা দেখেছি। সিপিএম সুপরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসকে বাংলার ঢুকিয়ে দিয়ে গেছিল। তাঁর ইতি টানতে আমরা নবজোয়ার ও গ্রামবাংলার মতামত করেছি। আজ জেলাপরিষদে প্রায় ১০০ শতাংশ মনোনয়ন হয়েছে। এটাই গণতন্ত্র, যা আমরা উদ্ধার করে মানুষকে তাঁর অধিকার ফিরিয়েছি, যা সিপিএম হরণ করেছিল। ওরা বলতে পারবে না আমাদের প্রার্থীরা মনোনয়ন দিতে পারিনি। আপনারা তথ্য পরিসংখ্যান দেখুন। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুধু জেলাপরিষদেই প্রায় ১০০ শতাংশ মনোনয়ন হয়েছে। বাম জমানার সেই দুঃসহ স্মৃতি কাটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি আমরা। এই ৬০ দিনে আমরা কোনও হোটেলে গিয়ে আরাম করিনি। মানুষের মাঝে গিয়ে তাঁদের মতামত নিয়ে পঞ্চায়েতের প্রার্থী ঠিক করেছি।’
আরও পড়ুন অভিষেককাণ্ডে মতুয়াগড়ে ক্ষোভ বাড়ছে শান্তনুর ওপরে
এর পাশাপাশি এদিন অভিষেক তাঁদেরকে কড়া বার্তা দিয়েছেন যারা টিকিট না পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছে। অভিষেক তাঁদের উদ্দেশ্য করেই বলেন, ‘তৃণমূলের ঝাণ্ডা যার হাতে থাকবে সেই তৃণমূলের প্রার্থী। যদি কেউ দলীয় শৃঙ্খলাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নির্দল হয়ে দাঁড়ায় তবে স্পষ্টভাবে বলছে পার্টির সঙ্গে যে বেইমানি করবে যতদিন তৃণমূল থাকবে ততদিন তাঁদের দলে নেওয়া হবে না। দলীয় শৃঙ্খলার উর্ধ্বে কেউ নয়। এই নবজোয়ার যাত্রার শুরুতে অনেকে অনেক কিছু বলেছিল। কিন্তু আমরা ২ মাস এই কর্মসূচি করে তাঁদের জবাব দিয়ে দিয়েছি। একদিন সিবিআই নোটিস দিয়েছিল যাতে তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রা পণ্ড করা যায়। সিবিআই যত নোটিস দিয়েছে, তৃণমূলের নবজোয়ার জনজোয়ারে পরিণত হয়েছে। তৃণমূল বিশুদ্ধ লোহা, যত আঘাত, তত শক্ত।’