নিজস্ব প্রতিনিধি: সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী। যে পদে বর্তমানে বহাল রয়েছেন রাজ্যপাল। এবার তা বাস্তবায়ন করার প্রক্রিয়ায় আরও একধাপ এগিয়ে যেতে চলেছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, আগামী জুন মাসের শেষ সপ্তাহে রাজ্য বিধানসভায় আনা হতে পারে বিল। জুন মাসের শেষের দিকে বিধানসভায় বসতে চলেছে বাদল অধিবেশন। সূত্রের খবর, রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য বদলের বিল আনা হতে পারে সেই অধিবেশনে। একইসঙ্গে রাজ্যে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর পদ থেকে রাজ্যপালকে অপসারণ করে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে ভিজিটর পদে আনার জন্য এই অধিবেশনে বিল আনা হতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভায়(State Cabinet) সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আচার্য পদে রাজ্যপালের বদলে এবার থেকে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। এই বিষয়ে দ্রুত রাজ্যের বিধানসভায় বিল পাশ করা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেই বিলে রাজ্যপাল স্বাক্ষর না করলে অর্ডিন্যান্স জারি করে এই নিয়ম বলবৎ করবে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই বিষয়ে বলেন, ‘‘মন্ত্রিসভায় সর্বসম্মতিক্রমে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গের যত বিশ্ববিদ্যালয় আছে তার আচার্য পদে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করতে চেয়ে বিধানসভায় বিল আনবে সরকার।’
শিক্ষামন্ত্রীর সেদিনের ঘোষণা মত এবার সেই বিল বিধানসভায় আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। এর পাশাপাশি রাজ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভিজিটর পদ থেকেও রাজ্যপালকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য সরকার। বদলে ওই পদে বসানো হবে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে। বিধানসভার বাদল অধিবেশনে সেই বিষয়েও আনা হতে পারে বিল। এই দুটি বিল বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর তাতে রাজ্যপাল স্বাক্ষর করলে তবেই সেটি আইনে পরিণত হবে। কিন্তু খোদ রাজ্যপালকে যেখানে অপসারণ করার জন্য এই বিল, তাতে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান স্বাক্ষর করবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা এর ফলে রাজ্য-রাজ্যপাল সঙ্ঘাত আরও চরমে পৌঁছবে।