নিজস্ব প্রতিনিধিঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ পারের স্বপ্ন দেখেছিল বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ডেইলি প্যাসেঞ্জারি চলছিল। বাংলায় তৃতীয়বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরে আসে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর থেকে রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা কেন্দ্রীয় এজেন্সি ব্যবহার করে শাসকদল দমিত করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র, অভিযোগ তৃণমূলের। রাজনৈতিক বিশেষ কর্মসূচির সময়ই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির তলব পড়ে বলে অভিযোগ। এই ইস্যুকে সামনে রেখেই বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের পুরোনো একটি মন্তব্যকে হাতিয়ার করেছে শাসকদল।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায় যে, “যেদিন ইডি কিংবা সিবিআই আমার পার্টির একটি লোককে ধরবে, যে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত আছে বা ছিল। আমি ভীষণ খুশি হব।” এই ভিডিও তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ‘এক্স’ থেকে পোস্ট করে লেখা হয়, বিজেপির হেভিওয়েট নেত্রী তথা প্রাক্তন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই নিজের দলের উপর থেকে পর্দাটা সরিয়ে দিয়েছেন। তিনিও মনে করেন, বিজেপির যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত। গ্রেপ্তার করা না হলেও ইডি-সিবিআই অন্তত দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত করুক।
প্রসঙ্গত, বুধবার বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক। ইডির মুখোমুখি হতে সেই বৈঠকে হাজির থাকতে পারেননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হওয়ার আগে তৃণমূলের অফিসিয়াল ‘এক্স’ অ্যাকাউন্ট থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়। ফের রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে পদ্ম শিবিরকে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। যদিও এখনও এ বিষয়ে বিজেপির তরফে কোন প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।