নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মাঝেমধ্যেই অল্পবয়সী মহিলাদের এমন কিছু সাধারণ শারীরিক সমস্যা তৈরি হয় যা সচেতনতার অভাবে আগামীদিনে বড় আকার ধারণ করে। তবে কিছু সচেতনতা অবলম্বন করলে এই সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যে সমস্যাগুলি অল্পবয়সীদের মধ্যে দেখা যায় সেগুলি হল..
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোমঃ অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে যে সমস্যাগুলি দেখা যায় সেটাই পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম বা পিসিওএস। মূলত পিরিয়ডের সমস্যা থেকেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। যার ফলে ব্রণ, ওজন বৃদ্ধি, ত্বকের সমস্যার মত একাধিক বিষয় দেখা যায়। বলা ভালো বিশেষজ্ঞমহলের দাবি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা থেকেই এই সমস্যা তৈরি হয়। বিশেশজ্ঞদের মতে এটি নাকি মহামারীতেও পরিণত হতে পারে। কারণ গবেষণা বলছে, সাধারণত গর্ভাবস্তার সময়ে পৌঁছলে প্রতি পাঁচজন মহিলার মধ্যে ১ জন পিসিওএস-র শিকার হন। ফলে সাবধানতা খুবই প্রয়োজন।
একটপিক প্রেগনেন্সিঃ অনেকসময় গর্ভাশয়ের বাইরে গর্ভধারণ হয়। একেই মূলত একটপিক প্রেগনেন্সি বলে। যা সাধারণ হয় ফ্যালোপিয়ান টিউবে। আগে সন্তান প্রসবের সময় যদি সি-সেকশন অস্ত্রপচার হয়ে থাকে। এবং সে কারণে যদি কোনও ক্ষত হয়ে থাকে তবে পরবর্তীতে এই একটপিক প্রেগনেন্সি দেখা দিতে পারে।
এসটিআইঃ সাধারণত অসুরক্ষিত যৌন অভ্যাস, যেমন যৌন সঙ্গমের সময় কন্ডোম বা কন্ট্রাসেপ্টিভ পিলের ব্যবহার না করা। এসবের ফলে এসটিআই দেখা যায়। তবে শুধুমাত্র ভ্যাজাইনাল সেক্স নয়, ওরাল বা অ্যানাল সেক্সের সময়ও কন্ডোম ব্যবহার করতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তাই সব রকমের সুরক্ষাকবচ এই বিশেষ মুহূর্তগুলিতে নেওয়া জরুরি। তাহলেই এই সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।
অপরিকল্পিত গর্ভধারণঃ অপরিকল্পিত গর্ভধারণের ফলেও অল্পবয়সী মহিলাদের বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে অসুরক্ষিত যৌন জীবন, সচেতনতার অভাব, পরিবার পরিকল্পনার অভাবে এই সমস্যার সম্মুখীন হয় বহু তরুণী। মূলত কম বয়সী মেয়েরা যারা নানাভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয় তাঁদের এই সমস্যা দেখা যায়। তাই প্রেমিক হোক বা স্বামী, যৌনমিলনের আগে উপযুক্ত সুরক্ষা বা বর্ম নেওয়া জরুরি।