নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সে ১১৭ বছর আগের কথা। তখন আইসক্রিম কি জিনিস সেটাই জানতেন না অধিকাংশ মানুষ, খাওয়া তো দূরের কথা। এমনকি এমন নানা স্বাদের রঙিন বরফের গোলা যে মুহূর্তের মধ্যে মানুষের এত পছন্দের খাবারের জিনিসে পরিণত হতে পারে সেটাই কেউ কল্পনা করতে পারেনি। কিন্তু আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকো বে এলাকায় বাসিন্দা ১১ বছরের একটি বাচ্ছা মেয়ে ফ্রান্সিস উইলিয়াম এপারসনের করা ছোট্ট একটি ভুল পাল্টে দিল সমস্ত ধ্যান ধারণা। কীভাবে নিজের অজান্তেই ফ্রান্সিস এমন সুন্দর, লোভনীয় এবং জনপ্রিয় একটি খাবারের পদ আবিষ্কার করে ফেলল সেটাই এখন আস্ত একটা ইতিহাস। এই ইতিহাস হল কাঠি আইসক্রিমের ইতিহাস। যাকে আজকালকার দিনে আমরা স্টিক আইসক্রিম, আইসক্যান্ডি আরও নানা নামে জেনে থাকি। তাহলে আসুন জেনে নিই আইসক্রিমের এই ইতিহাস, কীভাবে ফ্রান্সিসের ভুলে জন্ম নিল কাঠি আইসক্রিম সেই গল্প।
আজ থেকে প্রায় ১১৭ বছর আগে ছোট্ট ফ্রান্সিস আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোর বে অঞ্চলে থাকতেন তার পরিবারের সঙ্গে।ছোট থেকেই ফ্রান্সিস সরবত খেতে খুব ভালবাসত। ছোট্ট ফ্রান্সিসের বায়না মেটাতে মাঝে মাঝেই তার হাতে গ্লাস ধরিয়ে দিতে বাধ্য হত তার পরিবারের লোকজন। ফ্রান্সিসের এই বায়না শিত, গ্রীষ্ম বছরের যে কোনও সময়েই বাধা মানত না। এইরকমই একটি শীতের রাতে সরবতের গ্লাস হাতে নিয়ে বারান্দায় খেলা করছিল ফ্রান্সিস। গ্লাসের ভিতরে একটা ছোট্ট কাঠি দিয়ে সে সরবতটা অনবরত নাড়িয়ে চলছিল। ঠিক তখনই বাড়ির ভিতর থেকে ফ্রান্সিসের ডাক আসায় সে সরবতের গ্লাস বাইরে ফেলেই বাড়ির ভিতরে চলে যায়। পরে আর তার সরবতের কথা মনেই থাকে না। রাতে ঘুমিয়ে পরের দিন সকালে উঠে ফ্রান্সিস বারান্দায় বেরিয়ে দেখে আক অদ্ভুত কাণ্ড। গ্লাসের ভিতরের সরবত জমে বরফ হয়ে গিয়েছে। গ্লাসের মধ্যে থাকা কাঠিটাও গ্লাসের ঠিক মাঝখানে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফ্রান্সিস সেই সেই কাঠিতে টান মারতেই গ্লাসের ভিতর থেকে ওই বরফের গোলা সোজা বেরিয়ে আসে। ফ্রান্সিস সেই বরফ খেয়ে দেখে বরফের মধ্যে সরবতের স্বাদ রয়েছে। ঠিক এইভাবেই আবিষ্কার হয় আইসক্রিম।