নিজস্ব প্রতিনিধি: এখন আর উনুনের রাজ নেই। সবার বাড়িতেই রান্নাবান্না প্রধান মাধ্যম হিসেবে চলে এসেছে গ্যাস। কিন্তু এই মাধ্যম যেমন সহজ তেমনি ভয়ানক। গ্যাসের মাধ্যমে যেমন সহজে রান্না করা যায়, তেমনি গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে গেলে সাংঘাতিক কাণ্ড ঘটে যেতে পারে। বলা চলে, সিলিন্ডারের গ্যাসই এখন সবার একমাত্র ভরসা। পাশাপাশি গ্যাস সিলিন্ডার থেকে দুর্ঘটনার পরিমাণও বাড়ছে। যাই হোক, একটু সাবধান হলেই গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ থেকে সম্ভাব্য বিপদ এড়াতে পারেন। সেগুলি কি কি?
ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় সিলিন্ডার স্থাপন
গ্যাস সিলিন্ডার অনুপযুক্ত জায়গায় রাখা সাংঘাতিক ভুল। গ্যাস সিলিন্ডার সূর্যের আলোতে, প্রচণ্ড তাপে বা দাহ্য পদার্থের কাছাকাছি রাখলে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঝুঁকি বাড়তে পারে। আর অবশ্যই শিশুদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে গ্যাস সিলিন্ডার। খোলামেলা, শীতল এবং শুষ্ক জায়গায় গ্যাস সিলিন্ডার স্থাপন করতে হবে আর সিলিন্ডারটিকে সবসময় সোজা রাখতে হবে।
সিলিন্ডারের অপর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণ
অনিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ সিলিন্ডারকে বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এছাড়াও নিয়মিত ভালভ ও সংযোগস্থলে সাবান পানির দ্রবণ প্রয়োগ করে গ্যাসের লিক পরীক্ষা করতে পারেন। এ সময় বুদবুদের সন্ধান পাওয়া গেলে আগেভাগেই বিপদ থেকে বাঁচতে পারেন। এ ছাড়াও সিলিন্ডারটি নিয়মিত মুছবেন।
ভুলভাবে গ্যাস জ্বালানো
আগুন বা অন্যান্য যন্ত্রপাতির সঙ্গে গ্যাস সিলিন্ডারের সংযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংযোগে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ছাড়া সিলিন্ডার পরিবহনের পর গ্যাস জ্বালানোর আগে প্রায় এক ঘণ্টা গ্যাসের বিশ্রাম থাকতে হবে।
বায়ুচলাচল উপেক্ষা করা
গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করার সময় অপর্যাপ্ত বায়ুচলাচল স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াতে পারে। গ্যাসের যন্ত্রগুলো অক্সিজেন গ্রহণ করে। এবং কার্বন মনোক্সাইড উৎপন্ন করে, তাই আবদ্ধ স্থানের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। এছাড়া এক্সজস্ট ফ্যান ব্যবহার করে সঠিকভাবে বায়ু চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও গ্যাস সিলিন্ডারের সুরক্ষা সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব একটি সাধারণ ভুল, এর ফলে সম্ভাব্য ঝুঁকি থাকতে পারে। তাই সে সম্পর্কে শিশুসহ পরিবারের সকল সদস্যকে শিক্ষিত করা গুরুত্বপূর্ণ৷ সেক্ষেত্রে কীভাবে গ্যাসের লিক সনাক্ত করবেন এবং জরুরি পরিস্থিতিতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করবেন কি করে তা জানিয়ে রাখা উচিত।