নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বর্তমান দিনে সাস্থ্য সচেতনতার কথা মাথায় রেখে অনেকেই কম ক্যালরি যুক্ত অলিভ অয়েল বা সয়াবিন অয়েল রান্নার কাজে ব্যাবহার করেন। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন মা ঠাকুমার রান্নাঘরে খাবার তৈরির জন্য ব্যবহার হত একমাত্র সর্ষের তেল। এখনও অনেক মধ্যবিত্ত বাড়িতেই রান্নার তেল হিসেবে সর্ষের তেলকেই বেছে নেওয়া হয়ে থাকে। তবে শুধু মাত্র ভোজ্য তেল হিসেবেই নয় ত্বক ও চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রেও সর্ষের তেল উপকারী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত শীতকালে শুষ্ক ত্বক (Dry skin) ও শুষ্ক চুলের (Dry hair) পরিচর্যায় অত্যন্ত পরিচিত সর্ষের তেলের (Mustard oil) ভুমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
শীতকালে শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ভোগেন কম বেশি সকলেই। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সর্ষের তেলের ব্যাবহারে উপকার পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে ত্বক আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে সর্ষের তেল। অনেকেই এই সময় স্নানের আগে হাতে পায়ে সর্ষের তেল দিয়ে ম্যাসেজ করেন। তবে সরাসরি ত্বকে সর্ষের তেল ব্যবহার না করে কোনও ক্রিম বা ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি ফেস মাস্ক, বা ফেস প্যাকের সঙ্গে মিশিয়ে তা মুখে ব্যাবহার করতে পারেন।
এছাড়া অনেকেই ব্রণর সমস্যায় ভোগেন্। ব্রণথেকে তৈরি হয় দাগ যা সহজে যেতে চায় না । পাশপাশি অনেকসময় ত্বকে র্যাশ বা অ্যালার্জি দেখা যায়। সেক্ষেত্রে সর্ষের তেল ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। সর্ষের তেলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়া, অ্যান্টিফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপকরণ রয়েছে যা ব্রণ এবং র্যাশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে।।
শীতকালে চুলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হল খুশকির সমস্যা। খুশকি থেকে মুক্তি পেতে সর্ষের তেল বিশেষ উপকারী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সর্ষের তেলে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান যা খুশকির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে পাশপাশি মাথার ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে।
এছাড়া চুল লম্বা করতে চাইলে সর্ষের তেল দিয়ে চুলে ম্যাসাজ করলে উপকার পাওয়া যায়। সর্ষের তেলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম যা চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।