নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পাহাড় যেন সকলের কাছে এক নেশার মত। বরফে ঢাকা পাহাড় দেখার নেশা নেই এমন মানুষ মেলা দুস্কর। কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে সমস্ত কষ্ট ভুলে যাওয়া যায় যদি বরফের শুভ্র চাদরে ঢাকা পাহাড় চোখের সামনে দেখা যায়। সঙ্গে শীতে তুষারপাত দেখার মজাই আলাদা। এই মরসুমে ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ছুটে যান পাহাড়ের কাছে। বলা ভালো তখন এই অঞ্চলগুলি দেখে মনে হয় বিদেশেরই যেন এক টুকরো ছবি। রইল তেমনি কিছু জায়গার সন্ধান। যেখানে গেলে শীতে তুষারপাত থেকে পাহাড়ের সৌন্দর্য এবং বিদেশের আবহাওয়া এই সবকটিই আপনি উপভোগ করতে পারবেন।
আউলি (উত্তরাখন্ড)- উত্তরাখন্ডের আউলি পর্যটকদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয়। বরফের চাদরে মোড়া আউলি পাহাড় প্রিয় মানুষের কাছে ভ্রমণের এক অন্যতম স্থান। আউলিকে ভারতের ‘মিনি সুইৎজারল্যান্ড’ বলা হয়। নভেম্বর থেকে মার্চ এখানে বেড়াতে আসার সবথেকে উপযোগী সময়। এইসময় এখানে এলে আউলির আপেল বাগানও আপনার দেখার সৌভাগ্য হবে।
লে, লাদাখ- লাদাখে গিয়ে বাইক রাইডের স্বপ্ন দেখে প্রায় প্রত্যেকেই। বিশেষত নতুন প্রজন্মের মধ্যে এই ইচ্ছা বেশিই। ভারী তুষারপাত, পার্টনারের সঙ্গে বাইক রাইড, উষ্ণতা আর নুব্রা ভ্যালি বা প্যাংগং লেকের সৌন্দর্য যদি উপভোগ করতে হয় এবং শীতের কামড়কে আপনি তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে পারেন তাহলে আপনি নিঃসন্দেহে শীতে লে-লাদাখ ভ্রমণ করতে পারেন।
গুলমার্গ, জম্মু কাশ্মীর- প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ভূস্বর্গ হল মোক্ষম জায়গা। শীতের মরসুমে তাঁর রূপ আরও খানিক যেন বৃদ্ধি পায়। সেখানকার গুলমার্গ হল পর্যটকদের সম্মোহনের জন্যও যথেষ্ট। এখানকার সর্বাধিক তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে প্রায় মাইনাস ৭-৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হয়। তাই শীতের সমস্তরকম সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে গুলমার্গ হোক অন্যতম ঠিকানা।
হিমাচল প্রদেশ, মানালি- বরফ আর পাহাড়প্রিয় মানুষের কাছে হিমাচল প্রদেশ হল এক অন্যতম ডেস্টিনেশন। নভেম্বর মাসে মানালিতে প্রথম তুষারপাত হয়। তাই বরফের চাদরে মোড়া পাহাড় দেখতে পর্যটকরা ছুটে যান এখানে। এছাড়াও হানিমুন কাপলদের জন্যও মানালি বরাবরের পছন্দের। ঝুরঝুরে বরফে ঢাকা বরফে শিমলা, কুল্লু, মানালিকে অপরূপ দেখায়।