নিজস্ব প্রতিনিধি: কালবৈশাখী বাঙালিদের কাছে রোমান্টিক ওয়েদার। আসলে বৃষ্টি কার না ভাল লাগে, একটু স্যাতস্যাতে হয় ঠিকই কিন্তু, বৃষ্টি মানেই রোমান্টিকতার ছোঁয়া। অথচ প্রকৃতি মোটেই সেসবের তোয়াক্কা করছে না। কারণ রোজ বিকেলে ঝড় বৃষ্টি হলেও, দিনেরবেলায় সূর্য্যি মামার প্রকট রূপ এক্কেবারে জনজীবনক দুর্বিসহ করে তুলছে। ফলে একদিকে যেমন ঠান্ডা-গরমের তারতম্য, অন্য দিকে প্রবল আর্দ্রতা। সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞরা কি বলছেন, এই অবস্থায় শরীরের সুস্থ রাখবেন কি করে!
বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছে, এই সময়, বৃষ্টির জল যত কম গায়ে লাগাবেন ততই ভাল। এই বিষয়ে এনআরএস হাসপাতালের চিকিৎসক তথাগত সাহু বলছেন, সবসময় ছাতা সঙ্গে রাখার চেষ্টা করুন, যাতে রোদ আর বৃষ্টি দুই-ই আটকানো সম্ভব হয়। কোনও ভাবে শরীর ভিজে গেলে দ্রুত পোশাক বদলে নিন। মাথা ভিজে গেলে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন।
এ ছাড়া, এই সময়ে হরেক রকমের রোগ জীবাণুরও প্রকোপের কারণে ‘পরিচ্ছন্নতা’ বেছে নিন। নিয়মিত হাত-পা ধোয়া থেকে শুরু করে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে অভিভাবকদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে যেন, তাঁরা নোংরা জল-ময়লা না ঘাঁটে। খুদেদের জামাকাপড় ও হাত নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখবেন। এছাড়া, যে কোনও রোগব্যাধির মোকাবিলা করতে, সঠিক খাদ্যাভ্যাস খুবই জরুরি। কারণ পরিবেশে আর্দ্রতা বেশি থাকলে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ জল শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তাই এই সময় পর্যাপ্ত জল পান করতে হবে। যাঁরা বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন, তাঁরা নিয়মিত, বাইরের কাটা ফল, শরবত এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে দুই বোতল জল রাখুন সবসময়েই। প্রয়োজনে একটি বোতলে সাধারণ জল ও অন্য বোতলে নুন-চিনি মেশানো জল নিন। নিয়মিত জল পান করুন এবং প্রস্রাব জোর করে চেপে রাখবেন না। এই সময় জ্বর, সর্দি-কাশি কিংবা পেটের অসুখ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।