নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সারাদিন অফিসের কাজের চাপ, বসের দেওয়া টাইমলাইনের মধ্যে কাজ শেষ করার টেনশন, অফিস শেষে আবার বাড়ির রোজনামচা। সব কিছু মিলিয়ে সারাদিন দু দণ্ড দাঁড়িয়ে দম নেওয়ারও সময়ে নেই। কিন্তু সারাদিন ধরে এত হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পরেও রাতে কোনও মতেই এক হচ্ছে না চোখের দুপাতা? রাতের অধিকাংশ সময়েই জেগে কাটাতে হচ্ছে? সমস্যার মূল কারণ কিন্তু অনিদ্রা রোগ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন আজকালকার স্ট্রেসফুল জীবনে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৬ জন অনিদ্রার শিকার হচ্ছেন। এর মূল কারণ হল আমাদের দৈনন্দিন চাপা টেনশন এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা। করোনাকালে মানুষ ঘরবন্দি হওয়ার পরে তো এই সমস্যা আরও বেড়েছে। কিন্ত জানেন কি আমাদের নিত্যদিনের কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করলেই এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি মেলে। রাতে সুতে যাওয়ার সময়ে কাজকর্ম কিংবা রাতের পোশাক তাদের মধ্যে অন্যতম। আসুন জেনে নিই কীভাবে এই সময়ে কাজ আমাদের এই সমস্যা দূর করতে পারে।অনিদ্রা দূর করতে কী ধরনের পোশাক পরবেন রাতে শোয়ার সময়?
১) বিশেষজ্ঞরা প্রথমেই বলছেন, যাই পরুন না কেন, প্রথমে খেয়াল রাখুন তা যেন ঢিলে ঢালা হয়। কারণ, আঁটোসাঁটো পোশাকে ঘুমতে যাওয়া একদম উচিত নয়।
২) বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথমেই দেখে নিন আপনি যে রাতের পোশাক পরছেন, তার রং যেন খুব উজ্জ্বল না হয়। এক্ষেত্রে সাদা, হালকা হলুদ, হালকা গোলাপি রংকে গুরুত্ব দিন।
৩) বেশিরভাগ ছেলেরা বক্সার পরে ঘুমতে পছন্দ করেন। দেখে নিন বক্সারের কোমরের জায়গাটি যেন বেশি আঁটোসাঁটো না হয়। আর এ ব্যাপারে সুতি কাপড়কেই বেছে নিন।
৪) অনেক মহিলারই রাতের পোশাক হিসেবে ম্যাক্সিকে বেছে নেন। এ ব্যাপারেও সুতির কাপড়ই হোক প্রথম পছন্দ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেশমের তৈরি রাতের পোশাকও এক্ষেত্রে ভাল। রেশমের পোশাক গরমকাল ও শীতকাল দুই সময়েই শরীরের সঠিক তাপমাত্রা ধরে রাখতে সাহায্য করে, যার ফলে ভাল ঘুম হয়।
৫) বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতের পোশাক নিয়মিত পরিষ্কার করুন। চেষ্টা করুন সপ্তাহে দুবার ভাল করে কেচে নিতে। এক্ষেত্রে হালকা কোনও সুগন্ধি ওয়াশিং পাউডার ব্যবহার করুন।
৬) রাতের পোশাক বেশি পুরনো হয়ে গেলে বদলে ফেলুন। বেশিদিন ধরে পরা রাতের পোশাক পরা উচিত হবে না।
৭) রাতে শোয়ার সময় অন্তর্বাস একেবারেই নয়। শরীরকে যতটা কমফোর্ট দেবেন, ঘুম ততই ভাল হবে। তাই এ বিষয়টা মাথায় রাখুন অবশ্যই।
৮) অনেকেই চোখের উপর আইমাস্ক পরে ঘুমতে যান। এক্ষেত্রেও ব্যবহার করুন সুতির আইমাস্ক। এটা যদি অভ্য়াসে পরিণত হয়, তাহলে ঘুমের সমস্যা খুব একটা বেশি হবে না।