নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: কথায় বলে, অপরাধীরা অপরাধের কোনও না কোনও সূত্র ছেড়ে যায়। পুলিশের উর্দি (Police Uniform) পরে চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে ছয় কোটি টাকার সোনার গয়না নিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছিল চার ছিনতাইকারী। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। গয়না লুটের পরে পালাতে গিয়ে ট্যাক্সি চালককে চা-কফি কিনতে মাত্র ১০০ টাকা দেওয়ার জন্য এক অনলাইন পেমেন্ট (Online Payment) সংস্থার অ্যাপ ব্যবহার করেছিল। আর সেই অনলাইন পেমেন্টের সূত্র ধরেই দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) বিশেষ তদন্তকারী দল রাজস্থানের জয়পুর (Jaipur) থেকে ওই ছিনতাইচক্রের তিন পাণ্ডাকে পাকড়াও করেছে। ধৃতদের কাছ থেকে খোয়া যাওয়া সোনার গয়নাও উদ্ধার হয়েছে।
শুক্রবার দিল্লি পুলিশের সেন্ট্রাল ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার ((Deputy Commissioner of Police (central) শ্বেতা চৌহান (Shweta Chauhan) সাংবাদিকদের জানান, বুধবার ভোরে পাহাড়গঞ্জে ভুয়ো পুলিশ পরিচয় দিয়ে তল্লাশির নাম করে একটি ক্যুরিয়ার সংস্থার দুই কর্মীর চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে ৬ কোটি টাকার সোনার গয়না লুঠ করে চম্পট দিয়েছিল ছিনতাইকারীরা। ঘটনার তদন্তে নেমে ঘটনাস্থল ও আশেপাশের রাস্তায় থাকা বিভিন্ন সিসিটিভি ক্যামেরায় থাকা ৭০০টি ফুটেজ সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। ওই ফুটেজ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখতে গিয়েই অপরাধীদের প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেন তাঁরা। ওই ফুটেজেই দেখা যায়, এক ক্যাব চালককে চা-কফি কেনার জন্য ১০০ টাকা অনলাইন পেমেন্ট সংস্থা পেটিএমের মাধ্যমে ট্রান্সফার করেছে ছিনতাইকারীরা। ওই অনলাইন পেমেন্ট সংস্থার নথি দেখেই জানা যায়, ছিনতাইবাজরা নজফগড়ের বাসিন্দা।
সোর্স মারফত খবর পাওয়া যায়, বড় ধরনের লুঠ সংগঠিত করার পরে রাজস্থানের জয়পুরে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে ছিনতাইবাজরা। পুলিশের বিশেষ একটি দল দেরি না করে জয়পুরে রওনা হয়। একটি হোটেলে হানা দিয়ে বমাল সমেত তিন ছিনতাইবাজকে গ্রেফতার করে।