-273ºc,
Sunday, 4th June, 2023 10:24 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, বাগেরহাট: পরিবারের হাল ধরতে আর ছোট ভাইবোনদের মানুষ করতে গিয়ে বিয়ের কথা এক সময়ে ভুলেই গিয়েছিলেন বাগেরহাটের রামপাল সরকারি কলেজের প্রাক্তন শিক্ষক শওকত আলী। জীবনের মূল্যবান সময় তিনি ব্যয় করেছিলেন শিক্ষকতা আর সমাজসেবায়। আত্মীয়স্বজন বিয়ের কথা বললেও তিনি রাজি হননি। সারাজীবন চিরকুমার থাকবেন বলে সবাইকে জানাতেন। কিন্তু তা আর হলো কোথায়? অবসর নেওয়ার পরেই একাকিত্বে ভুগতে শুরু করেন। আর সেই একাকিত্ব কাটাতে আজীবন চিরকুমার থাকার পণ ভেঙে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন ৭০ বছর বয়সে। পাত্রী শাহিদা আক্তার নাজুর বয়স শওকতের অর্ধেক। গত শনিবার জাঁকজমকের সঙ্গে ১০ লাখ এক টাকা দেনমোহরে সম্পন্ন হয়েছে বিয়ে।
রামপাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক শওকত আলীর বিয়ে ইতিমধ্যেই টক অব দ্য কান্ট্রি হয়ে উঠেছে। ৭০ বছর বয়সে এসে বিয়ের পিঁড়িতে বসা নিয়ে পাত্র বাবাজীবন অবশ্য মুখ খোলেননি। লাজুক পাত্রীও কিছু বলতে চাননি। তবে দাদাকে জীবনসঙ্গিনী জোগাড় করে দিতে পেরে খুশি শওকত আলীর ছোট ভাই আব্দুল হালিম খোকন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘দাদাই আমাদের বড় করেছেন। মানুষ করেছেন। সারা জীবন তিনি আমাদের সুখ-দুঃখে বটবৃক্ষের মতো আগলে রেখেছেন। বর্তমানে আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ওনাকে সময় দিতে পারি না। তিনিও একাকীত্ব বোধ করেন। তাই বাকি জীবনটা যাতে নিঃসঙ্গভাবে কাটাতে না হয় তার জন্য দাদাকে বিয়েতে রাজি করিয়েছি।’
দাদার সঙ্গে পাত্রীর বয়সের তফাত সাম্পত্য সম্পর্কে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলেই আশাবাদী আবদুল হালিম। তাঁর কথায়, ‘ভাবী ভীষণ ভালো। তার আগের সংসারের একটি মেয়ে রয়েছে। ওই মেয়ের দায়িত্ব দাদা নিয়েছেন। নতুন দম্পতি শান্তিতে সংসার করছেন।’