নিজস্ব প্রতিনিধি, ফারুক্কাবাদ (উত্তরপ্রদেশ): সুকুমার রায়ের সেই সৎপাত্র কবিতার কথা নিশ্চই মনে আছে। কেমন পরিবার, তা আরও একবার জানিয়ে দেওয়া যাক।
বিষয় আশয় ? গরীব বেজায়-/কষ্টে-সৃষ্টে দিন চলে যায়।/মানুষ ত নয় ভাই গুলো তার-/একটা পাগল একটা গোঁয়ার;/আরেকটি সে তৈরি ছেলে,/ জাল ক’রে নোট্ গেছেন জেলে।/কনিষ্ঠটি তব্লা বাজায়/ যাত্রাদলে পাঁচ টাকা পায়।
যে পাত্র প্রসঙ্গে এই প্রতিবেদন, সেও সৎপাত্র। তবে অন্যরকম। এই পাত্রটি আবার অঙ্কে কাঁচা। অনেকদিন বিয়ে হচ্ছে না। তাই, পরিবার বহু খোঁজাখুঁজির পর এক পাত্রীর সন্ধান পায়। ঠিক হয় বিয়ের দিন তারিখ।
বিয়ের দিন পাত্র সাজুগুজু করে এসেছিল। মণ্ডপে পাত্রী তাঁর হবু বরের হাতে ১০ টাকার ৩০টা নোট দিয়ে তাঁকে গুনতে বলে। ব্যস। সব গোল-মাল। পাত্র ৩০টি নোট গুনতে গিয়ে দরদর করে ঘামছে। যে ছেলে টাকার নোট গুনতে পারে না, তার সঙ্গে যে ঘর-সংসার করা যায় না, সেটা বুঝতে বিন্দুমাত্র দেরি হয়নি। পাত্রী বিয়ের মণ্ডপ ছেড়ে চলে যায়। পরিবার জানায়, এমন অযোগ্য পাত্রের হাতে মেয়েকে দেবে না।
পাত্রীপক্ষের এ হেন আচরণে বেজায় চটেছে পাত্রের পরিবার। অন্যদিকে পাত্রীর পরিবার বলে, বিয়ে হয় বিশ্বাসের ওপর। ছেলের বাড়ির লোক আমাদের কাছে ওর বহু প্রশংসা করে। গুনের কথা জানায়। সেই কথায় বিশ্বাস করে ব্যবস্থা। শেষে দেখা গেল সে টাকাই গুনতে পারে না।