নিজস্ব প্রতিনিধি, খুলনা: সমাজ যতই এগোক না কেন, পণপ্রথার মতো কু-প্রথা থেকে বোধ হয় সহজে নিষ্কৃতি মিলবে না। খুলনার দৌলতপুরে এক গ্রাম্য বিয়ের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ওই ভিডিও’তে দেখা গিয়েছে কনেকে দাঁড়িপাল্লার এক পাশে বসিয়ে অন্য পাশে রাখা হচ্ছে কয়েন। দাঁড়িপাল্লা সমান হওয়ার পরে ওই কয়েনের ব্যাগ বর পক্ষের হাতে তুলে দিচ্ছেন কনের বাবা। যদিও মেয়ের বিয়েতে যৌতুক দেওয়ার কথা মানতে চাননি নব পরিণীতার বাবা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের প্রাগপুর মাঠপাড়ায় বাসিন্দা রতন আলীর মেয়ে মাছুরা খাতুন রিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের মাইনুল ইসলামের ছেলে বিপ্লবের বিয়ের আসর বসেছিল। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পরে আচমকাই বিয়ের মণ্ডপে টাঙানো হয় য় দাঁড়িপাল্লা। তার পরে ওই দাঁড়িপাল্লার একপাশে বসানো হয় কনের বেশে থাকা রিয়াকে। আর অন্য দিকে কয়েনের বস্তা। দাঁড়িপাল্লা সমান হওয়ার পরে ওই কয়েনের বস্তা তুলে দেওয়া হয় বরের বাবার হাতে। চোখের সামনে ওই ঘটনা দেখে অনেকেই বিস্মিত হয়ে যান। এইভাবে যৌতুক দেওয়া উচিত হয়েছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।
যদিও মেয়ের সমান ওজনের কয়েন দেওয়ার ঘটনায় যার নাম জড়িয়েছে সেই রতন আলী অবশ্য যৌতুক দেওয়ার কথা মানতে চাননি। চাপে পড়ে তিনি সাফাই দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘মেয়ের জন্মের সময় মানত করেছিলাম, বিয়েতে তার ওজনের সমপরিমাণ টাকা উপঢৌকন দেব। তাই মেয়েকে দাঁড়িপাল্লায় মেপে কয়েন দেওয়া হয়েছে।’ যদিও বরের বাবা এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুলতে চাননি। প্রাগপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের আশরাফুজ্জামান মুকুল জানিয়েছেন, ‘দাঁড়িপাল্লায় মেপে টাকা দেওয়া অন্যায় হয়েছে। কেন করা হয়েছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’