নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: গালওয়ান থেকে তাওয়াং। চিনা আগ্রাসন রুখতে ব্যতিব্যস্ত ভারতের স্থল সেনা। শি চিনফিংয়ের দেশের লাল ফৌজের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই যুদ্ধাস্ত্র কেনার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল সেনাবাহিনী। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে ৮৪ হাজার ৩২৮ কোটি টাকার যুদ্ধাস্ত্র কেনার সিদ্ধান্তে ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার রাতে এক টুইটে যুদ্ধাস্ত্র কেনার ব্যাপারে অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এত জরুরি ভিত্তিতে বিপুল পরিমাণ টাকার অস্ত্রশস্ত্র কেনার অনুমোদন দেওয়ার পরেই জল্পনা শুরু হয়েছে। ভারত কি কোনও জরুরি পরিস্থিতির কথা ভেবে প্রস্তুতি নিচ্ছে?
৮৪ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা দিয়ে ভারতীয় সেনার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র, হাল্কা সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক এবং বিভিন্ন ধরনের গাড়ি কেনার ফলে সেনাবাহিনী যেমন চাঙ্গা হবে তেমনই দেশের প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিও আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। তিনি জানান, ‘৮৪ হাজার ৩২৮ কোটির ৯৮ শতাংশই দেশে প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনকারী সংস্থা থেকে অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে ব্যবহার হবে।’
আচমকাই বিপুল পরিমাণ টাকার যুদ্ধাস্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। পাঁচ বছর আগে ২০১৭ সালে আপৎকালীন ভিত্তিতে রাশিয়া এবং ইজরায়েলের কাছ থেকে মোদি সরকার বিপুল অস্ত্রশস্ত্র কিনেছিল বলে একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যম দাবি জানিয়েছিল। ওই বিপুল সংখ্যক অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল, রকেট লঞ্চার, বোমা, গ্রেনেড লঞ্চার এবং চালকবিহীন উড়ন্ত যান কিনেছিল বলে সংবাদমাধ্যমটিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। সে রকমই