নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: প্রচলিত রীতি ভাঙল ঢাকার ঐতিহ্যশালী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার অন্য ভাবে বাণীবন্দনা করল ঢাকার নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। চিরাচরিত প্রথা ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাদৃতা ভৌমিক নামে এক শিক্ষার্থীর হাতেই পূজিতা হলেন বাগদেবী। আর এক মহিলা পুরোহিতের হাতে দেবী ভারতীর পুজো দেখতে ভিড় উপচে পড়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
এদিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউট মিলে মোট ৩৬টি মণ্ডপে বাগদেবীর আরাধনা করা হয়। তার মধ্যে ইংরেজি বিভাগে প্রথমবারের মতো কোনও মহিলা শিক্ষার্থী পুরোহিত হিসেবে দায়িত্ব সামলালেন। মূলত প্রাচীন যুগ থেকেই পূজা-পার্বণে পুরুষের আধিপত্য। মহিলারা পুজোয় সহযোগিতার কাজ করলেও পুরোহিতের ভূমিকায় তাদের দেখা পাওয়া বিরল ঘটনা। প্রথমবার পুরোহিত হিসাবে অবতীর্ণ হতে পেরে খুশি সমাদৃতা। পুজো শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সনাতন শাস্ত্রমতে কোথাও বলা নেই যে নারী পুরোহিত পৌরোহিত্য করতে পারবে না। তবে সমাজের সম্মানীয় কাজগুলো এখনও পুরুষদের দখলে। শিক্ষকদের অনুপ্রেরণা ও উৎসাহে আমি পুরোহিত হিসাবে দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ হয়েছি। পুরুষ আধিপত্যবাদের বিপক্ষে পৌরোহিত্য করে প্রমাণ করেছি মহিলারাও পারে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল সাংবাদিকদের জানান, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এবারই প্রথম কোনও নারী পুরোহিত পুজো সম্পন্ন করল। সমাদৃতার দেখানো পথে হেঁটে বাকিরাও পুজোয় পৌরাহিত্য করার কাজে এগিয়ে আসবে বলে আশা করছি।’