নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দুই সমবয়সীর তর্কাতর্কিতে মাঝে-মধ্যেই একজন আরেকজনকে বলতে শোনা যায় – বাবার বিয়ে (Fathers marriage) দেখিয়ে দেব? কখনও সেটা আসে রসিকতা (jocking) হিসেবে, কখনও আসে রাগের বহিঃপ্রকাশের অঙ্গ হিসেবে। সাধারণভাবে বাবার বিয়ে দেখা যে কোনও সন্তানের পক্ষে সম্ভব নয়, তা আমাদের সকলের জানা। এর ব্যতিক্রম (Exceptioal) ঘটনার সাক্ষী রইল কুষ্টিয়ার কাঞ্চনপুর গ্রাম। হাতে-কলমেই বাবার বিয়ের সাক্ষী রইল তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে।
বিয়ে করেছেন সাইফুল (Saiful) ও হেলেনা (Helena) , দ্বিতীয়বার। দীর্ঘদিন ধরেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু আর্থিকভাবে তারা তেমন স্বচ্ছল না থাকায় ১৭ বছর আগে প্রায় নমো নমো করে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করতে হয়। গ্রামবাসীরাই (Villagers) উদ্যোগী হয়ে তাদের বিয়ে দেন। সাইফুল (Saiful) ও হেলেনা (Helena) –এই দুইয়ের পরিবারের আর্থিক সামর্থ্য (financial) তেমন ছিল না। তাই তারা অতিথি আপ্যায়ন করতে পারেননি। বিয়ের দিন সাইফুল (Saiful) সিদ্ধান্ত নেন, ভবিষ্যতে তিনি এই বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে কম করেও একশোজনকে আমন্ত্রণ করে খাওয়াবেন। বিয়েতে যাবে বরযাত্রীরাও (groom party) ।
সাইফুলের সেই ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী এবং তাদের ১০ বছরের এক ছেলে (Son) ও সাত বছরের এক মেয়ে (daughter) নিয়ে প্রায় একশোজন সামিল হয়েছিল বরযাত্রায়। বর ও বরযাত্রী সাতটি গ্রাম ঘোরে। বরযাত্রীর সঙ্গে ছিল বাজনদার।
চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের (Chapra UP) সাত নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মনোয়ার হোসেন শুনেছেন এই বিয়ের কথা। তিনি বলেন, এদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো ছিল না বলে, গ্রামবাসী তাদের বিয়ে দেয়। সাইফুলের (Saiful) ইচ্ছা ছিল অনুষ্ঠান করে বিয়ে করার। ১৭ বছর পর সেই ইচ্ছে পূরণ হল।
আরও পড়ুন কোরবানির আগেই ছাগল-সমেত ট্রাক ছিন্তাই, মাথায় হাত ব্যবসায়ীর