নিজস্ব প্রতিনিধি, প্রয়াগরাজ: বছর সাতেক আগের ঘটনা।
লখনউ রেল স্টেশনে এক বৃদ্ধা দুই হাত জোড় করে কিছু খেতে চেয়েছিলেন। পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন বিক্রম পাণ্ডে নামে এক যুবক। তিনি প্রথমে গুরুত্ব দিতে চাননি। কিন্তু পরে ওই বৃদ্ধাকে নিয়ে যান একটি দোকানে। নিজের পকেটের পয়সা দিয়ে বৃদ্ধার খিদে- তেষ্টা মেটান। সেই একটা ঘটনা তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। রাস্তায় থাকা অভুক্তরা দুই বেলা যাতে খেতে পারে, তার জন্য রুটি ব্যাঙ্ক তৈরির সিদ্ধান্ত নেন বিক্রম। ব্যাঙ্কের নামও ইন্ডিয়ান রোটি ব্যাঙ্ক। সদর দফতর ফারুক্কাবাদে। ক্যাচলাইন খাও-পিও, রাহো আবাদ, রোটি ব্যাঙ্ক ফারুক্কাবাদ। দেশের ১৪টি শহরে আউটলেট রয়েছে। প্রতিদিন ১২ লক্ষ অভুক্তদের দুইবেলা বিনা পয়সায় খাওয়ার ব্যবস্থা করে। করোনাকালে মানুষ যখন ছিল গৃহবন্দি, সেই সময় রুটি ব্যাঙ্কের কর্মীরা ছিল ব্যস্ত। অভুক্তদের ক্ষুদার জ্বালা মিটিয়েছিল। বিক্রম জানিয়েছে, একেবারে প্রথম দিকে সে নিজে কিছু অর্থ দিয়ে এবং বন্ধুদের থেকে কিছু অর্থ নিয়ে অভুক্তদের মুখে গ্রাস তুলে দিত। সেখান থেকেই এই ব্যাঙ্কের ভাবনা।
কোথা থেকে জোগাড় করে রুটি? আর প্যাকেটে কী থাকে? বিক্রমের টিমের ছেলে-মেয়েরা স্কুটার চালিয়ে লোকের বাড়ি গিয়ে রুটি জোগাড় করে। সেই সব রুটি নিয়ে তারা অফিসে ফেরে। সেখানে রান্নাঘরে তৈরি হয় সবজি। চারটে করে রুটি, তরকারি এবং আচার প্যাকেটে করে চলে যায় স্টেশন বাসস্ট্যান্ড। বন্টন করে অভুক্তদের।