এই মুহূর্তে




সুনামিতে নিখোঁজ স্ত্রীকে ১৩ বছর ধরে সাগরের গভীরে খুঁজে চলেছেন স্বামী

courtesy google




আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ার আশায় সাগরে ছুটে যান ইয়াসু তাকামাতসুর। তবে একবার দুবার নয় ,বারবার সাগরের তলায় গিয়ে পাগলের মত খোঁজেন তাঁর হারিয়ে যাওয়া সঙ্গীকে। একদিন দুইদিন নয়, ঘটনার প্রায় ১৩ টা বছর কাটতে চলল। এখনও পর্যন্ত আশাবাদী ইয়াসু। বয়স তাঁর ৬৭ এর দোরগোড়ায়। এক বুক আশা নিয়ে তাই আজও সাগরে ডুবুরির পোশাকে ডুব দিয়ে চলেছেন ইয়াসু।

ইয়োকোকে (স্ত্রী) উদ্ধারে গভীর সাগরে নামার জন্য তিনি ৫৬ বছর বয়সে ডাইভিং শেখার সিদ্ধান্ত নেন ইয়াসু। এরপর ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬০০ বার সাগরে নেমে ইয়োকোকে খুঁজেছেন তিনি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর দেহাবশেষের সন্ধান এখনো পাননি তিনি।তাঁর বিশ্বাস একদিন ঠিক খুঁজে পাবেন তাঁর হারিয়ে যাওয়া স্ত্রীকে।

ইয়াসু তাঁর স্ত্রী ইয়োকোকে নিয়ে জাপানের মিয়াগি প্রদেশের ওনাগাওয়া শহরে বাস করতেন। ২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের মূল ভূখণ্ডে প্রলয়ঙ্কর সুনামি আঘাত হেনেছিল। ফলে দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলের বড় অংশ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এই সুনামিতে মারা গিয়েছিল হাজারো মানুষ। তবে তাঁদের মধ্যে নিখোঁজ হন অনেকে। তাঁর স্ত্রীও এইভাবে নিঁখোজ হয়েছিলেন। স্ত্রীর কাছ থেকে শেষ একটা লাইন শুনতে পেয়েছিলেন ইয়াসু। সেই শেষ লাইনটি হল, ‘তুমি কি ঠিক আছো? আমি ঘরে ফিরে যেতে চাই’।

এই শেষ কথাটুকুই একমাত্র সম্বল ইয়াসুর কাছে। স্ত্রীর খোঁজে আজও সাগরে ছুটে যেতে ইয়াসুকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে এই শেষ শব্দগুলো। সুনামির কয়েক মাস পর তিনি তাঁর স্ত্রীর ফোন তাঁর কর্মস্থলের গাড়ি পার্কিংয়ের স্থানে দেখতে পেয়েছিলেন। তাতে একটা অর্থপূর্ণ ছোট বার্তা লেখা ছিল। বার্তায় লেখা ছিল, ‘অনেক বড় সুনামি।’

ইয়োকো-ইয়াসু জুটির প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল ১৯৮৮ সালে। তখন স্ত্রী ইয়োকোর বয়স ছিল মাত্র ২৫ বছর। তিনি কাজ করতেন ওনাগাওয়ার সেভেনটি সেভেন ব্যাংকে। অন্যদিকে,  ইয়াসু ছিলেন জাপানের গ্রাউন্ড সেলফ-ডিফেন্স ফোর্সের একজন সেনা। ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা ইয়োকোর সঙ্গে তাঁর পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেনন।প্রথম সাক্ষাতেই মন দিয়ে ফেলন ইয়োকো-ইয়াসু।

পরবর্তীকালে, এই প্রেম পরিণত হয়েছিল বিবাহে। দুজনেই বিয়ে করে সুখে সংসার করছিলেন। ইয়াসু তার স্ত্রীর ব্যাপারে বলেন, ‘ও ছিল ভদ্র। আমি তার হাসি ও বিনয়ী স্বভাব পছন্দ করতাম।’ তিনি জানান, ৫৬ বছর বয়সে তাঁর ডাইভিং শেখার একমাত্র কারণ ছিল, যাতে তিনি সাগর থেকে তাঁর স্ত্রীকে খুঁজে বের করে আনতে পারেন।

উল্লেখ্য, ইয়াসু তাকামাতসুর জীবন নিয়ে নির্মিত হয়েছে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও। বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে এটি  দেখানো হয়েছে। ‘নোহয়ার টু গো বাট এভরিহয়ার’ (কোথাও যাওয়ার নেই, কিন্তু সবখানেই) ছাড়াও অটল ভালবাসার অসাধারণ এই গল্প ‘দ্য ডাইভার’ শিরোনামের একটি ডকুমেন্টারি তৈরি হয়েছে। যেখানে অটুট ভালবাসার বন্ধন দেখানো হয়েছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ইজরায়েলি হামলার এক বছর পূর্তি, কোটি কোটি টন ধ্বংসস্তুপ নিয়ে বিপাকে গাজাবাসী

গাজায় ইজরায়েলের হত্যালিলার প্রতিবাদে ওয়াশিংটনের রাস্তায় গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ফিলিস্তিনি যুবকের

একই বৃন্তে দুইটি কুসুম, বৃষ্টি থেকে বাঁচাতে নামাজ পড়া মুসলিমের মাথায় ছাতা ধরল হিন্দু পুলিশ কর্মী

বিয়ে হয়েছিল 57 বছর আগে, ভিডিও হাতে পেলেন 2024-এ

ড্রোন উড়িয়েই বিশ্ব রেকর্ড ক্যানসার আক্রান্তের

পুলিশকে দেখে খালে ঝাঁপ, ৩ ঘন্টার চেষ্টায় কচুরিপানার ভেতর থেকে আটক ধর্ষণের আসামি

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর