আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ছোট থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবি (brilliant)। জন্ম উচ্চবিত্ত পরিবারে। একসময় শিক্ষকতাও (teacher) করতেন। মিশরের কায়রোর আল মাদি শহরে বাড়ি। এলাকায় মূলত বসবাস করে অভিজাত সম্প্রদায়ের মানুষ। জাওয়াহিরির বাবা (father) মহম্মদ রাবি আল জাওয়াহিরি ছিলেন অধ্যাপক। ঠাকুর্দা (grand father) (মায়ের বাবা) কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টে। আর যাকে কেন্দ্র করে এই প্রতিবেদন, সেই জাওয়াহিরি একসময় ডাক্তারি করতেন। করেছেন শিক্ষকতা। সেই ছেলে একদিন বিশ্বের ত্রাস হয়ে উঠবে সেটা কল্পনাও করতে পারেনি পরিবার।
কিশোর মন ঘুরিয়ে দিল তাঁর কাকা (Unlce) মাহফুজ আজম। সেই সঙ্গে একটি বই, লেখক সইদ কুতুব। বিশ শতকে ইসলামি চরমপন্থার জনক বলে পরিচিত ছিলেন কুতুব। মিশর সরকার তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। সেই শাস্তি জাওয়াহিরিকে পুরোপুরি বদলে দিল।
বয়স তখন মাত্র ১৫। বন্ধুদের নিয়ে তৈরি করলেন নিজের সংগঠন। উদ্দেশ্য ছিল মিশর সরকারকে (Egypt Govt) উৎখাত করা। সময়ের হাত ধরে সেই সংগঠন জামাত-আল-জিহাদ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। সইদ কুতুবের পথকে আদর্শ পথ বলে মনে করলেন। দীক্ষা নিলেন ইসলামি চরমপন্থায় (Islamic fundamentalism) । যদিও পারিবারিক প্রথম মেনে ইতি টানতে রাজি ছিলেন না। কলেজের পাঠ শেষ করে ভর্তি হলে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে মেডিসিনে (medicine) ডিগ্রি অর্জন করেন। একসময় সেনাবাহিনীতে চোখে অপারেশন (eye sergeon) করতেন। পরে নিজের বাড়িতেই ক্লিনিক খুলে বসেন।
সোভিয়েতের বিরুদ্ধে তৎকালীন মুজাহিদিনদের চিকিৎসা করতেন জাওয়াহিরি। সেখানেই লাদেনের (Osama Bin Laden) সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ঘুরে গেল জীবনের অভিমুখ।