আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিমানের চাকার (Landing Gear) পাশেই বসে এক দেশ থেকে আরেক দেশে পৌঁছে গেলেন এক ব্যক্তি। এবং আশ্চর্যজনকভাবে তিনি বেঁচেও ছিলেন। বিমানবন্দরের কর্মীরাও অবাক হয়েছেন ওই ব্যক্তির কাণ্ড দেখে। প্রায় আড়াই ঘণ্টার বিমানযাত্রায় তিনি পাড়ি দিয়েছেন ৪,৩৫৬ কিলোমিটার। আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র ‘ডেইলি মেল’ এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের ছোট্ট দেশ গুয়াতেমালা থেকে একটি বিমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শহর মিয়ামির উদ্দেশ্য উড়ান ভরেছিল। ওই বিমানে পাইলট, কর্মী ও যাত্রী ছাড়াও একজন ছিলেন।
তিনি ওই বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারের পাশেই লুকিয়ে ছিলেন। এবং মাটি থেকে ৩৩ হাজার ফুট উঁচুতে বিমানের ভিতর ল্যান্ডিং গিয়ারের পাশেই একটি ছোট্ট জায়গায় বসেই ওই ব্যক্তি পৌঁছে যান গুয়াতেমালা থেকে মিয়ামি। বিমানটি যখন মিয়ামি বিমানবন্দরে অবতরণ করে তখন কিভাবে ওই ব্যক্তি বেঁচে গেলেন সেটা ভেবেই অবাক বিমানকর্মীরা। জানা গিয়েছে, বিমানটি মিয়ামি বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পর বিমানকর্মীরা দেখেন বিমানের পেটের কাছে চাকা-সহ ল্যান্ডিং গিয়ার ঢুকে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ২৬ বছরের এক যুবক বেড়িয়ে আসছেন। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গেই পাকড়াও করে কাস্টমস বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি গত শুক্রবারের। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন ওই যুবক সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে একটাই প্রশ্ন ওই যুবক বেঁচে গেলেন কীভাবে? উল্লেখ্য, তালিবান শাসকরা আফগানিস্থানের দখল নেওয়ার পর একই কায়দায় বিমানের চাকা আঁকড়ে বা ল্যান্ডিং গিয়ারে লুকিয়ে দেশ ছাড়ার চেষ্টায় বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছিল।