নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বয়স মাত্র ১৩, সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। কিন্তু ওই বয়সেই হয়েছিলেন মা। সন্তানের জন্ম দিতে সহ্য করতে হয়েছিল টানা ১৪ ঘণ্টার প্রসব বেদনা। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এক মহিলার ভিডিও। যিনি নিজের মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নেটপাড়ার লোকজনদের শুনিয়েছেন এমনই অবিশ্বাস্য একটি গল্প। যদিও সম্প্রতি তিনি ভিডিওটি বানাননি, বরং ভিডিওটি আজ থেকে প্রায় ২ বছর আগে অর্থাৎ ২০২০ সালে ইউটিউবে আপলোড করেয়া হয়। কিন্তু সম্প্রতি খুবই জনপ্রিয় হয়েছে ভিডিওটি এবং মাত্র কয়েক দিনেই প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন।
ভিডিওটি জ্যানিকা এবং অ্যানিকার। সম্পর্কে তাঁরা মা, মেয়ে। তবে হঠাৎ দেখলে এবং পুরো ঘটনা না জানলে দুজনকে দিদি, বোন বলেই মনে হবে। ওই ভিডিওতেই জ্যানিকা সম্প্রতি তাঁর ১৩ বছর বয়সে মা হওয়ার গল্প শুনিয়েছেন। সঙ্গে নিজের মেয়ে অ্যানিকাকে নিয়েই। তাঁর কথায়, ‘আমার বয়স যখন মাত্র ১৩ বছর এবং আমি সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী তখন আমি আমার সহপাঠী একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি এবং আমাদের মধ্যে প্রায় ১ বছর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এইভাবে এক বছর সবকিছু ঠিকভাবে চলার পরে হঠাৎ স্কুলে রটে যায় যে আমি নাকি গর্ভবতী। এই কথা আমার মায়েরও কানে পৌঁছায় এবং তিনি শেষ পর্যন্ত আমি গর্ভবতী কিনা তা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমবারেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কিন্তু আমি কিংবা আমার আমার লোক কেউই বিশ্বাস করিনি প্রথম বারে। এরপর যখন আমার আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা হয়, তখন জানা যায় যে আমি নাকি ৬ মাসের গর্ভবতী। সেই সময় পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে আমার কাছে জন্ম দেওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তাই খোলা ছিল না। এই ঘটনার ঠিক ৪ মাস পরে আমি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিই। আমাকে ওই বয়সেই প্রায় ১৪ ঘণ্টা প্রসব যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছিল।’
জ্যানিকার এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় ১১ লক্ষ লাইক পেয়েছে। রি-শেয়ার হয়েছে প্রায় কয়েক হাজার বার। অন্যদিকে এই ওই মহিলাকে রীতিমতো অনুপ্রেরণা বলে মনে করছেন অনেকেই। এক কথায় বলতে গেলে নিজের এই অবিশ্বাস্য কাহিনীর হাত ধরে রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন এই মহিলা।