নিজস্ব প্রতিনিধি, তিরুঅনন্তপুরম: দুর্ঘটনাক্রমে দাদার সঙ্গে যৌন সঙ্গমেই গর্ভবতী হয়েছে ছোট্ট বোন। গর্ভে দাদার ঔরসজাত সন্তান। সেই ভ্রুণের বয়স ৩৪ সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। তাই গর্ভবতী নাবালিকার গর্ভপাতের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে কেরল হাইকোর্ট। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, ‘মাতৃজঠর থেকে বেরিয়ে পৃথিবীর আলো দেখার সময় হয়েছে ভ্রুণের। তাই এই মুহুর্তে কোনও ভাবেই গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।’
কোচির বাসিন্দা এক নাবালিকার অভিভাবকরা ছোট্ট সন্তানের গর্ভপাতের আর্জি নিয়ে দ্বারস্থ হয়েছিল কেরল হাইকোর্টের। এ সংক্রান্ত শুনানির শেষে গত ২২ ডিসেম্বর হাইকোর্টের পক্ষ থেকে ওই আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মাতৃজঠরে বেড়ে ওঠা সন্তান যাতে সুস্থভাবে পৃথিবীর আলো দেখতে পায়, তার জন্য সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ভ্রুণের বয়স ৩৬ সপ্তাহ পেরনোর পরে সাধারণ প্রসবের মাধ্যমে নাকি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই শিশুকে ভূমিষ্ঠ করা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভারও সরকারি চিকিৎসকদের উপরে ছেড়েছেন বিচারপতি।
পাশাপাশি অভিযুক্ত দাদাকে সন্তান ভূমিষ্ট না হওয়া পর্যন্ত নাবালিকার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিশেষ নজরদারি রাখতে বলেছেন বিচারপতি। গর্ভবতী নাবালিকার পরিচয় গোপন রাখতেও বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাতৃত্বের বোঝা যাতে নাবালিকার মানসিক শান্তিকে বিঘ্নিত না করে সে বিষয়েও অভিভাবকদের সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।