নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে মঙ্গলবার মহাসামারোহে পালিত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস। ছিয়াত্তর পূর্ণ করে সাতাত্তরে পা দিল কাঙ্খিত স্বাধীনতা। আর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেওয়া রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিনও সকালে দেশবাসীর উদ্দেশে টানা দেড় ঘণ্টা ধরে ‘জ্ঞানগর্ভ’ ভাষণ দিয়েছেন। লালকেল্লা থেকে সবচেয়ে দীর্ঘ ভাষণের নজির গড়েছেন মোদি। আর সবচেয়ে কম সময় ভাষণ দিয়েছেন কে জানেন?
পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট দেশ স্বাধীনের পূণ্যলগ্নে লালকেল্লা থেকে প্রথমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জহরলাল নেহরু। তাঁর প্রথম ভাষণ ছিল মাত্র ২৪ মিনিটের। মোট ১৭ বার লালকেল্লা থেকে ভাষণ দিয়েছিলেন পণ্ডিত নেহরু। প্রতি বারই স্বল্প সময় ভাষণ দিয়েছেন। নেহরু-কন্যা ইন্দিরা গান্ধি লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে মোট ১৭ বার ভাষণ দিয়েছেন। তার মধ্যে ১৯৭২ সালে তিনি ভাষণ শেষ করতে সময় নিয়েছিলেন ৫৪ মিনিট। ওটাই ছিল লালকেল্লা থেকে কোনও প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ ভাষণ। ২০০২ ও ২০০৩ সালে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারি বাজপেয়ী যথাক্রমে ২৫ ও ৩০ মিনিট ভাষণ দিয়েছিলেন। আর এক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ২০১২ ও ২০১৩ সালে ৩২ ও ৩৫ মিনিটে ভাষণ শেষ করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর থেকেই নাতিদীর্ঘ ভাষণে পূর্বসূরিদের টেক্কা দিয়ে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪ সালে প্রথমবার লালকেল্লা থেকে ভাষণ দেওয়ার সুযোগ পেয়েই দেশবাসীকে জ্ঞান বিতরণ করেছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে মাত্র ৫৫ মিনিট ভাষণ দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে ৯৪ মিনিট, ২০১৯ সালে ৯২ মিনিট ও ২০২০ সালে ৯০ মিনিট ভাষণ দিয়েছেন। মোদির গড় ভাষণের সময় ৮২ মিনিট। মোদির আগে দীর্ঘ সময় ধরে ভাষণ দেওয়ার রেকর্ড ছিল ইন্দ্র কুমার গুজরালের। ১৯৯৭ সালে তিনি ৭১ মিনিট ভাষণ দিয়েছিলেন।