27ºc, Haze
Friday, 24th March, 2023 10:14 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ১৯৮৭ সালে কাজের সুবাদে জার্মানির ডর্টমাউন্ড শহরে স্বদেশিয় হারুনুর রশিদের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল প্রবাসী বাংলাদেশি মহিরুদ্দিনের। দুজনের মধ্যে গড়ে উঠেছিল বন্ধুত্ব। কিন্তু আচমকাই সেই সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটে। বহু খোঁজ করেও বন্ধু হারুনের হদিশ পাননি মহিরুদ্দিন। অবশেষে বন্ধুর খোঁজে বাংলাদেশের একটি জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন তিনি। আর ওই বিজ্ঞাপনেই কেল্লাফতে। ৩৭ বছর ধরে খুঁজে চলা বন্ধু হারুনের হদিশ পেয়েছেন তিনি। কথা বলে মনে শান্তি পেয়েছেন মহিরুদ্দিন।
হারিয়ে যাওয়া বন্ধুর খোঁজে গত শুক্রবার ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ পত্রিকায় ‘সাক্ষাৎ চাই’ শিরোনামের বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন জার্মান প্রবাসী মহিরুদ্দিন। ওই বিজ্ঞাপনে ফুটে ওঠে বন্ধুকে দেখার করুণ আর্তি। বন্ধুর সন্ধান চেয়ে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি মহিরুদ্দিন ১৯৮৬/৮৭ সালে জার্মানির ডর্টমাউন্ড শহরে অবস্থানকালে হারুনুর রশিদ/শেখ রশিদ নামে একজন সেখানে ছিল। যথাসম্ভব তার বাড়ি ফরিদপুর জেলার মধুখালী। ওই সময়ের পর থেকে অনেক চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। তোমাকে দেখার খুব ইচ্ছে। তাই ফোন নম্বর- ০১৭৩৪৩০৬৭৮৬ তে যোগাযোগ করলে বা কেহ সন্ধান দিলে খুব খুশি হব। সাক্ষাৎপ্রার্থী মহিরুদ্দিন।’
নিমিষেই ওই বিজ্ঞাপন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও ওই মন কাড়া বিজ্ঞাপন নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়। আর তার পরেই হারুনুর রশিদের সন্ধান দেন তার ভাইপো মহিদুল ইসলাম। শনিবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি ওই ব্যক্তি যাকে খুঁজছেন তার বাড়ি মধুখালী। তখন আমার কাকাকে বিষয়টি জানাই। কাকা বিজ্ঞাপনটি পড়ে বলেন, আমিই তার সেই হারিয়ে যাওয়া বন্ধু।’ যার খোঁজে সুদূর জার্মানি থেকে মহিরুদ্দিন বিজ্ঞাপন দিয়েছেন সেই হারুনুর রশিদ শেখ সাংবাদিকদের জানান, ‘জার্মানিতে পাসপোর্ট জটিলতার কারণে পুলিশের ঝামেলায় পড়ে জেলও খাটতে হয়েছিল। ১৯৮৭ সালের শেষের দিকে জার্মানি থেকে দেশে চলে আসি। আমার যতোটুকু মনে পড়ে মহিরুদ্দিনের বাড়ি চট্টগ্রামে। আমিও তাকে অনেক খুঁজেছি, চিঠি লিখেছি। কিন্তু দীর্ঘ ৩৭ বছরেও তার কোনো খোঁজ পাইনি। আজ কথা হলো। কি যে আনন্দ পেয়েছি বলে বোঝাতে পারব না