নিজস্ব প্রতিবেদক: ফের রাজ্যের মুকুটে নতুন পালক। করোনার কালবেলাতে রাজ্যে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেওয়ায় অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের নয়া প্রকল্প ‘বাংলাশ্রী’ ছিনিয়ে আনল স্কচ পুরস্কার। অতি সহজে ব্যবসার জন্য় ‘স্বর্ণ’ পুরস্কার পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের প্রকল্প। উল্লেখ করা যেতে পারে, শিল্প, বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, প্রযুক্তি এবং সামাজিক ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রতি বছরই বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাকে পুরস্কৃত করে দেশের অন্যতম থিঙ্কট্যাঙ্ক সংস্থা ‘স্কচ গ্রুপ’।
করোনার মহামারি শুরুর পরে যখন কার্যত অনেকেই কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছিলেন, তখনই কর্মসংস্থানের দিকে নজর রেখে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে জোর দেওয়ার জন্য ‘বাংলাশ্রী’ নামে নতুন উত্সাহ প্রকল্প চালু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। ওই বছর বিধানসভায় রাজ্য বাজেট পেশ করতে গিয়ে র্তকালীন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানিয়েছিলেন, ‘নয়া প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য নতুন ক্ষুদ্র শিল্প ও কর্মসংস্থানের প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি হবে। নয়া প্রকল্পের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।’ নয়া প্রকল্প ‘বাংলাশ্রী’র মাধ্যমেই রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে পড়ুয়াদের পোশাক সরবরাহ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। ‘স্কচ’ গ্রুপের পক্ষ থেকে বুধবার রাতে জানানো হয়েছে, ‘অতি সহজে ব্যবসার জন্য-ই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের অধীনে থাকা ‘বাংলাশ্রী’ প্রকল্পকে ২০২২ সালের জন্য স্বর্ণপদক দেওয়া হচ্ছে।
অতীতেও ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ সহ রাজ্যের একাধিক প্রকল্প ‘স্কচ’ পুরস্কার পেয়েছে। সম্প্রতি ডিজিটাল পরিষেবার জন্য মোদি সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের সেরার পুরস্কার ছিনিয়ে এনেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম স্বপ্নের কর্মসূচি ‘দুয়ারে সরকার’। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস নেতারা কোরাস সুরে রাজ্যে বিনিয়োগের পরিবেশ নেই এবং কর্মসংস্থান হচ্ছে না বলে যে অভিযোগ করছেন তা যে সারবত্তাহীন, রাজ্য সরকারের একের পর এক প্রকল্প পুরস্কৃত হওয়াই তার বড় প্রমাণ।