এই মুহূর্তে




গণেশের শরীরের প্রত্যেক অংশ কিসের প্রতীক জানেন কী ?

courtesy google




নিজস্ব প্রতিনিধি : বিভিন্ন নামে ধরাধামে পুজিত হন গণেশ। বিভিন্ন সময় পাপ নাশ করতে, ধর্ম রক্ষা ও সংসারকে বাঁচানোর উদ্দেশে অবতার নেন গণেশ। শোনা যায়,মোট আটটি অবতার নিয়েছিলেন গণপতি। তবে আপনি কী জানেন কেন গণেশকে হাতির মাথা দেওয়া হয়েছিল ? এর পেছনে কি রহস্য ছিল এর পেছনে। ভগবান গণেশের শরীরের প্রতিটি অংশ এক একটা ইঙ্গিত বহন করে। তবে গণেশ চতুর্থীর আগেই জেনে নিন বিঘ্নহর্তার শরীরের প্রত্যেক অংশ কিসের প্রতীক ?

গণেশের দুটি দাঁত : গণেশের মুখের দুটি দাঁত হল, ঠিক ও ভুলের প্রতীক ৷ আবেগ ও বাস্তবের প্রতীক৷ দুটি দাঁত মানে হল, দুটি চয়েজ ৷ এই দুই দাঁত আমাদের শেখায়, সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে জীবনে ঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া ৷ তার মধ্যে একটা দাঁত ভাঙা এর অর্থ হল জীবনে ওঠা নামা হবেই। কখনো ভাঙবে কখনো মচকাবে। পাশাপাশি একটা ভাঙা দাঁত ও সোজা দাঁত থাকার অর্থ হল জীবনে ভাঙা গড়া থাকবে। তবে আত্মবিশ্বাস থাকলে জয় নিশ্চিত।

মাথা : হাতির মাথা বড় হয় ৷ গণেশের মাথাও বড়৷ এর অর্থ, বড় চিন্তা করো ৷ সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে ভাবতে হবে ৷ বিশ্বের সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী হল হাতি ৷ তাই গণেশকে বুদ্ধির প্রতীকও বলা হয়ে থাকে।

ছোট চোখ : ছোট চোখ,এই ধরনের চোখের অর্থ মনোযোগ ৷ এটা ইঙ্গিত দেয়,খুব মনোযোগ দিয়ে ভবিষ্যত দেখার চেষ্টা করো বর্তমানের পরিস্থিতি দেখে। সমস্ত কিছু বুঝে তারপর সিদ্ধান্ত নাও। স্থির হও যে কোন পরিস্থিতিতে।

বড় শুঁড় : গণেশের শুঁড় হল গ্রহণযোগ্যতার প্রতীক ৷ এটি আমাদের শেখায়, জীবনে যেমন পরিস্থিতি আসবে, তার সঙ্গেই মানিয়ে নাও ৷ এবং কঠিন পরিস্থিতিকে দক্ষতার সঙ্গে লড়াই করো।

বড় কান : গণেশের বড় কান হল শোনার অভ্যেসের প্রতীক ৷ অর্থাৎ মন দিয়ে শোনো ৷ তারপর যা কিছু অপ্রয়োজনীয়, ঝেড়ে ফেলে দাও ৷ ভাল কিছু শোনার জন্য শ্রবণশক্তি আরও প্রখর করো। এটা সেই অর্থ বহন করে।

বড় ভুঁড়ি : গণেশের বড় ভুঁড়ি এর অর্থ হল জীবন উপভোগের প্রতীক৷ এটি আমাদের শেখায়, জীবনে যেমনই পরিস্থিতি আসুক, আনন্দে থাকো ৷ কোনকিছুকে ছোট করে দেখো না।

বাহন ইঁদুর :  এটির প্রথম প্রতীক হল, আমাদের একগুচ্ছ ইচ্ছে, যার কোনও শেষ নেই ৷ সেই ইচ্ছেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ৷ নইলে ধ্বংস নিশ্চিত। ইঁদুরকে দেখা যায় গণেশের পায়ের কাছে ৷ এর অর্থ হল, ইগো ঝেড়ে ফেলতে হবে ৷ আবার ইঁদুর যেমন তুচ্ছ হলেও অনেক বড় কাজ করতে পারে। বিশ্বের কোনায় কোনায় চষে বেড়াতে পারে। সেক্ষত্রে বিঘ্নহর্তা সমস্ত স্থানে  পৌঁছোতে পারে। এই জন্য বাহন হিসেবে ইঁঁদুর দেওয়া হয়েছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দুর্গাপুজোয় কোন রঙের জামা পড়বেন ? রাশি মিলিয়ে বেছে নিন! কাটবে সংকট

প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে হুইল চেয়ার দিয়ে স্কুলে আসতে সাহায্য করলেন প্রধান শিক্ষক, আনন্দে হল ভুরিভোজ

Mahalaya : মহালয়া  শুভ না অশুভ? বিচার করুন নিজেই

Vishwakarma Puja 2024: কবে হবে বিশ্বকর্মা পুজো ? জেনে নিন শুভ সময়

Mahalaya : আসলে কি এই মহালয়া? জানুন দেবী দুর্গার সাথে এর সম্পর্ক

এবছর দেবী দূর্গা আসছে কীসে ? অশুভ ইঙ্গিত বহন করেছে না তো ?

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর