নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ১৯৪৭ সালের ১৫ই অগস্ট ভারতের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ দিন। প্রায় ২০০ বছর পর ইংরেজদের অধীনতা থেকে মুক্তি পেয়েছিল ভারতবাসী। দীর্ঘ সংগ্রাম, রক্তপাত, জীবন উৎসর্গের পর মিলেছিল স্বাধীনতা। বীর শহিদদের আত্মত্যাগের পরিবর্তে আজকের স্বাধীনতার মুক্তিস্বাদ পেয়েছিল ভারতবাসী। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মধ্যে মহাত্মা গান্ধীর নাম অন্যতম অগ্রগণ্য।তাঁর সত্যাগ্রহ আন্দোলন, অহিংস-অসহযোগ আন্দোলন ইতিহাসের পাতায় প্রজ্বলিত। অথচ এই মানুষটিই প্রথম স্বাধীনতা উদযাপনের দিন হাজির ছিলেননা। প্রশ্ন জাগছেই। কেন এমনটা করেছিলেন ‘জাতির জনক’ মহাত্মা গান্ধি?
১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট তিনি নোয়াখালিতে(বর্তমানে বাংলাদেশ) গিয়েছিলেন। সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ বন্ধ করে শান্তির বার্তা দিতে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন। সংঘর্ষ বন্ধ করতে ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি অনশন শুরু করেন। তাঁকে দিল্লি থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি এই পরিস্থিতিতে স্বাধীনতা উদযাপনে অংশ নেবেননা বলেই সিদ্ধান্ত নেন। তিনি মনে করেন বাংলায় যে দাঙ্গা হচ্ছে সেদিকেই এখন গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
সেই সময়ে জওহরলাল নেহেরু এবং সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল মহাত্মা গান্ধীকে একটি যৌথ চিঠি লিখেছিলেন। তাকে ভারতের স্বাধীনতা উদযাপনে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন।তবে মহাত্মা গান্ধী জানিয়েছিলেন, যে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা তার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফলে দেশের প্রথম স্বাধীনতা উদযাপনের দিন উপস্থিত হতে পারেননি তিনি।