নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: তিহাড় জেল। নামটা শুনলেই অনেক দাগি অপরাধীদেরও পিলে চমকে যায়। দেশের কুখ্যাত অপরাধী থেকে নানা মামলায় অভিযুক্ত ভিভিআইপি রাজনীতিবিদদের ঠাঁই হয় ওই জেলে। এবার সেই তিহাড় জেলের বাইরেই লম্বা লাইন লেগেছে কয়েদিদের। সবাই ভিতরে ঢুকতে চাইছেন। জুড়োহুড়িও লক্ষ্য করা গিয়েছে। কিন্তু আচমকাই তিহাড় জেলে ঢোকার জন্য কয়েদিদের মধ্যে কেন এত কাড়াকাড়ি?
জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এক নির্দেশেই তিহাড় জেলে ঢোকার জন্য দাগি অপরাধীদের এমন তাড়াহুড়ো। দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার সময়ে সুরক্ষার চাদরে মোড়া তিহাড়ে থাবা বসিয়েছিল মারণ ভাইরাস। একের পর এক কয়েদির শরীরে ধরা পড়েছিল করোনার সংক্রমণ। বাকি কয়েদিদের মারণ ভাইরাসের থাবা থেকে বাঁচাতে শীর্ষ আদালতের অনুমতি নিয়েই প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ৪ হাজার ৬৮৩ কয়েদিকে। তাদের মধ্যে যেমন খুনের অপরাধে অভিযুক্ত কয়েদি ছিল, তেমনই বিচারাধীন বন্দিরাও ছিল।
প্যারোলে ছাড়া পাওয়া কয়েদিদের অনেকে করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ার পরে তিহাড় জেলে ফিরলেও বাকিরা মওকা বুঝে গা ঢাকা দিয়েছিল। বিষয়টি জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ। গত ২৪ মার্চ বিচারপতি এম আর শাহ ও বিচারপতি সি টি রবিকুমারের ডিভিশন বেঞ্চ এক নির্দেশে প্যারোলে মুক্তি পাওয়া অপরাধীদের ১৫ দিনের মধ্যে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল। আগামিকাল শনিবার ওই সময়সীমা শেষ হচ্ছে। তাই আত্মসমর্পণের জন্য কয়েদিদের মধ্যে হুড়োহুড়ি বেঁধে গিয়েছে।