আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হু হু করে ওজন বেড়ে যাচ্ছিল তাঁর। অনেক চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু কিছুতেই ওজন কমাতে পারছিলেন না। তিনি ডায়েট করার চেষ্টাও করেন। খাবারের প্রতি তীব্র আসক্তি। তাই সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। ২৮ বছরের ওই যুবতী যে কোনও মূল্যে নিজের ওজন কমানোর চেষ্টা করছিলেন। তাই শেষ পর্যন্ত অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু তার জন্যও তো প্রয়োজন প্রচুর অর্থের। অবশেষে নিজের ওজন কমাতে, নিজেকে একটা নতুন চেহারা উপহার দিতে ব্যাঙ্ক থেকে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নিলেন যুবতী।
মিশেল ক্লেমেন্ট ব্রিটেনের বাসিন্দা। তাঁর ওজন হয়ে গিয়েছিল প্রায় ১১০ কেজি। ২০২১ সালে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, ওজন কমানোর জন্য অস্ত্রোপচার করবেন। সেই কারণে ব্যাঙ্ক থেকে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নেন। যদিও তাঁর মোট খরচ হয় ১৯ লক্ষ টাকা। অস্ত্রোপচারের পর মিশেলের ওজন এখন হয়েছে ৬৬ কেজির কাছাকাছি।
মিশেল বলেন, অস্ত্রোপচারের জন্য অনেকটা বেশি টাকা খরচ হয়েছে। এই নিয়ে তাঁর কোনও আফশোস নেই। তিনি নিজের জন্য এই টাকা খরচ করেছেন। ব্রিটিশ যুবতী বলেন, অনেকই মনে করেন অস্ত্রোপচারে ওজন কমানো খুব সহজ। এতে পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু মোটেই এই রাস্তাটা মসৃন ছিল না। অস্ত্রোপচারের পরের দিন রক্ত জমাট বেঁধে যেতে থাকে। সেই সময় বমি হয়। তখন মনে হচ্ছিল তিনি আর বাঁচবেন না।
মিশেল বলেন, অনেকেই তাঁকে বেশি পরিশ্রম ও কম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু নিজের খাবারের অভ্যাস পরিবর্তন করা তাঁর জন্য সহজ ছিল না। তিনি অনেক চেষ্টা করেও কোল্ড ড্রিঙ্কস ও ভাজাভুজি খাওয়া থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। মোটা হওয়ার কারণে তিনি অবসাদে চলে গিয়েছিলেন। মিশেল বলেন, ‘একজন ভালো মা হওয়ার জন্য আমার ওজন কমানোর খুব প্রয়োজন ছিল। আমার দুটো মেয়ে রয়েছে। একজনের বয়স পাঁচ বছর ও একজনের বয়স এক বছর। এই অস্ত্রোপচারের সময় আমার বাগদত্তা খুব সাহায্য করেছে।’