আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময়ে আচমকাই কফিন থেকে ক্ষীণ স্বরে ভেসে এসেছিল নিঃশ্বাসের শব্দ। সেই শব্দ শুনে কফিনের ঢাকনা খুলতেই দেখা গেল ভিতরে যিনি রয়েছেন তাঁর প্রাণে হৃৎস্পন্দন রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই কফিন থেকে বের করে আনা হয়েছিল। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময়ে অলৌখিকভাবে বেঁচে উঠলেও শেষ পর্যন্ত চিরঘুমে ঢলে পড়লেন ইকুয়েডরের বাসিন্দা ৭৬ বছরের বৃদ্ধা বেল্লা মনতোয়া। চিকিৎসকরা এবারে আর তাঁকে বাঁচাতে পারেননি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি’ জানিয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে চলতি মাসের শুরুতে ইকুয়েডরের বাবাহোয়া শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ৭৬ বছর বয়সী বেল্লা মনতোয়াকে। বেশ কয়েকদিন চিকিৎসার পরে চিকিৎসকরা জানান, মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মারা গিয়েছেন তিনি। চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করার পরেই মনতোয়ার পরিবারের সদস্যরা তাঁর শেষকৃত্যর প্রস্তুতি শুরু করেন। কফিনবন্দি মনতোয়ার শরীর সমাধিস্থ করার আগেই এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। কফিনের ভিতর থেকে শ্বাস নেওয়ার শব্দের পাশাপাশি কফিনে ধাক্কা মারার শব্দ শুনতে পান পরিবারের সদস্যরা। সঙ্গে সঙ্গেই শেষকৃত্য স্থগিত রেখে চিকিৎসকদের খবর দেওয়া হয়।
চিকিৎসকরা এসে পরীক্ষা করে জানান, বেঁচে রয়েছেন মনতোয়া। এর পরেই কফিন থেকে বের করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গত শুক্রবার ১৬ জুন ইস্কেমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে সত্যিই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন অলৌকিকভাবে বেঁচে ফেরা বেল্লা মনতোয়া। মৃতের ছেলে গিলবার্ট বারবারা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘সত্যিই আমার মা আর বেঁচে নেই। এবার আমাদের ছেড়ে চিরদিনের জন্য না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন।’