নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের রেশন ডিলাররা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলেন উৎসবের মরশুমে ‘দুয়ারে রেশন’ কর্মসূচীর ‘পাইলট প্রজেক্ট’ বা পরীক্ষামূলক কাজ যেন বন্ধ রাখা হয়। কেননা ওই সময়ে রেশন ডিলার সহ উপভোক্তারা সকলেই থাকেন উৎসবের মেজাজে। ‘অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন’-এর পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে একই অনুরোধ করা হয়েছিল। সেই অনুরোধেই সাড়া দিলেন খাদ্যমন্ত্রী। জানালেন, পুজোর মাসে আট দিন হবে দুয়ারে রেশনের ‘পাইলট প্রজেক্ট’ বা পরীক্ষামূলক প্রকল্পের কাজ। তবে পুরো উৎসবের মরশুম জুড়ে এই কাজ বন্ধ থাকবে না। অক্টোবর মাস থেকেই ফের শুরু করে দিতে হবে কাজ। মন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজ্য খাদ্য দফতর ইতিমধ্যেই সেই ৮দিনের কাজের বিষয়টি ঘোষণাও করে দিয়েছে।
রাজ্য খাদ্য দফতরের দেওয়া ওই নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পুজোর পরে অক্টোবরের ১৭ তারিখ থেকে শুরু হবে ‘দুয়ারে রেশন’ কর্মসূচীর ‘পাইলট প্রজেক্ট’ বা পরীক্ষামূলক কাজ। ১৭ তারিখের পরে ২১, ২২, ২৪ তারিখ এবং ২৬ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত এই প্রকল্পের কাজ হবে বলে জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। এই বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘আমরা আগেই জানিয়ে ছিলাম এই প্রকল্পের কাজ কোনও ভাবেই থামানো যাবে না। পুজোর কথা ভেবে দিনগুলি স্থির করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে যাতে রেশন ডিলারদেরও সমস্যা না হয়, সে কথাও মাথা রেখে পুজোর দিনগুলি বাদ রাখা হয়েছে। পুজোর মরসুম শেষ হলেই দফতর আবার কাজের দিনের সংখ্যা বাড়িয়ে দেবে।’
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে রাজ্যের ১৫ শতাংশ রেশন ডিলারকে নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ‘দুয়ারে রেশন’ এর কাজ শুরু করা হয়েছিল। একই সঙ্গে খাদ্য দফতর থেকে জানানো হয়েছিল অক্টোবরে আরও ৩৫ শতাংশ রেশন ডিলারকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। অর্থাৎ অক্টোবর মাসের মধ্যেই রাজ্যের অর্ধেক রেশন ডিলারকে দুয়ারে রেশনের পরীক্ষামূলক প্রকল্পের আওতায় নিয়ে চলে আসা হচ্ছে। খাদ্য দফতর থেকে এটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নভেম্বর মাস থেকে সব রেশন ডিলারকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। যদিও এখনও রেশন ডিলারদের একাংশ এই কর্মসূচী নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে যাচ্ছেন রেশন সামগ্রী বাড়ি বাড়ি কীভাবে তাঁরা নিয়ে যাবেন তা নিয়ে। যদিও রাজ্য সরকার সেই রেশন সামগ্রীর পরিবহণ নিয়ে ১ লক্ষ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে রেশন ডিলারদের। এমনলি তাঁর জন্য মেমো ইস্যু করার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।