এই মুহূর্তে




সায়নের মুক্তির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম দ্বারে রাজ্য

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’র নামে গত মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের(Nabanna Abhiyan) ডাক দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। সেদিন ওই অভিযানকে ঘিরে বেশ কিছু গোলমালের ঘটনা ঘটে। সেই সব গোলমালের জেরে গ্রেফতার হন সংগঠনের অন্যতম আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ী(Sayan Lahiri)। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court) তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। শুধু নির্দেশ দেওয়াই নয়, কলকাতা হাইকোর্ট এটাও জানিয়েছিল, এদিন অর্থাৎ শনিবার দুপুর ২টোর মধ্যে তাঁকে ছেড়ে দিতে হবে। এদিন অক্ষরে অক্ষরে সেই নির্দেশ মেনে সায়নকে ছেড়েও দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার(Justice Amrita Sinha) দেওয়া সেই রায়কে এদিন চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে(Supreme Court) চলে গিয়েছে রাজ্য সরকার(West Bengal State Government)। এক্ষেত্রে সবার আগে প্রশ্ন হচ্ছে, কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে কেন ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ জানানো হল না? কেন ডিভিশন বেঞ্চে আপিল না করেই সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে চলে গেল রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন, শিক্ষক দিবসের দিনেই ১৬ লক্ষ পড়ুয়াকে ট্যাব কেনার টাকা দেবে রাজ্য

সায়নের মামলা যখন কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে উঠেছিল, তখনই রাজ্য সরকারকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। আদালতের প্রশ্ন ছিল, কেন সায়নকে গ্রেফতার করা হয়েছিল? তার জেরে রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল, নবান্ন অভিযান কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন সায়ন। ওই কর্মসূচিতে পুলিশের কোনও অনুমতি ছিল না। এর পরও জমায়েত হয়েছে, মিছিলও হয়েছে। ওই কর্মসূচি কোনও ভাবেই শান্তিপূর্ণ ছিল না। সব শুবেও বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্ন ছিল, সায়ন কোনও রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কিনা! জবাবে রাজ্য জানিয়েছিল, তিনি ছাত্রনেতা। সায়নের গ্রেফতারি সঠিক সেটা প্রমাণ করতে রাজ্য সরকার তাকে ‘প্রভাবশালী’ তকমাও দিয়েছিল। সেই তকমা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন ছিল, সায়ন যদি ছাত্র নেতা হয়, তাহলে তাঁকে ‘প্রভাবশালী’ বলা হচ্ছে কীভাবে। বিচারপতি মন্তব্য করেছিলেন, ‘ওই ছাত্রনেতাকে কী ভাবে এত প্রভাবশালী বলা হচ্ছে? তিনি কি এতই জনপ্রিয় যে, ডাক দিলেন আর হাজার হাজার লোক জড়ো হয়ে গেল? তাঁর কী অতীত রয়েছে? সায়ন কি সক্রিয় রাজনীতিতে রয়েছেন?’

আরও পড়ুন, নবান্ন অভিযান আর বাংলা বনধে কলকাতার ব্যবসায় ক্ষতি ২০০০ কোটি টাকা

পর্যবেক্ষণে আদালত এ-ও জানিয়েছিল, সায়ন কোনও ‘প্রভাবশালী’ নন। নবান্ন অভিযানে গোলমালের ঘটনায় গ্রেফতারির আগে সায়নের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই, সে কথাও উঠে এসেছিল আদালতের পর্যবেক্ষণে। তবে রাজ্যের যুক্তি ছিল, সায়ন প্ররোচনামূলক বক্তব্য রেখেছিলেন। তবে রাজ্যের যুক্তি টেকেনি বিচারপতি সিংহের এজলাসে। ধৃত সায়নের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশ ছিল, শনিবার দুপুর ২টোর মধ্যে সায়নকে ছেড়ে দিতে হবে। আদালতের নির্দেশ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না বলেও হাইকোর্ট জানিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার। তবে তার আগে আদালতের নির্দেশ মেনে এদিন সায়নকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। আর ছাড়া পেয়েই সায়ন কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। ধন্যবাদ জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টকে। দেখার বিষয় সুপ্রিম কোর্ট সায়নকে নিয়ে কী বলে। তবে ডিভিশন বেঞ্চকে টপকে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ায় যে প্রশ্ন উঠবেন, সেটা নিয়ে একপ্রকার নিশ্চিত আইনজীবীদের একাংশ।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘এই ধরনের মানুষদের মনোনয়ন দেওয়াই ঠিক নয়’, জহরকে নিশানা সৌগতের

‘একজন ছেড়েছেন, আরেকজনও ছাড়ুন,’ নাম না করেই জহর-সুখেন্দুকে নিশানা দেবাংশুর

রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়ছেন জহর, চিঠি তৃণমূল নেত্রীকে

পিছন থেকে আন্দোলনে মদত যুগিয়ে এখন হাত কামড়াচ্ছে বিজেপি

রবিবার হাওড়া ময়দান থেকে ধর্মতলা রুটে মেট্রো পরিষেবা রাতের দিকের সময় বাড়ছে

বড়বাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের নকল প্রসাধনী দ্রব্য আটক করল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর