নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে(Panchayat Election) দলের হয়ে প্রচার করতে নেমেছেন তৃণমূলের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। এদিন তাঁর সভা ছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের(Paschim Midnapur) নারায়ণগড়ে। সেখান থেকেই এদিন তিনি ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রসঙ্গে একহাত নিয়েছেন বিরোধীদের। যে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নিয়ে বিরোধীরা বার বার শাসক পক্ষকে আক্রমণ শানায়, সেই বিরোধীরা এখন ভোটের মুখে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার(Lakhir Bhandar) নিয়ে পুরো উল্টো সুরে গান গাওয়া সুর করেছেন। তাঁদের এই ভোলবদলকেই এদিন নিশানা বানিয়েছেন অভিষেক। বলেছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে বরাদ্দ বাড়ানো হবে বলে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। প্রতি জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী থেকে সুকান্ত মজুমদারের মুখে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। আগে এরাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাকে ভিক্ষা দেওয়া হচ্ছে বলে চ্যাঁচাছিল।
আরও পড়ুন হুগলিতে তৃণমূলের দাপটে চ্যালেঞ্জের মুখে বিজেপি
এদিন নারায়ণগড়ের মাটিতে দাঁড়িয়ে অভিষেক বলেন, ‘একুশের ভোটের আগে বাংলার মা-বোনেদের জন্য তৈরি এই প্রকল্পকে ভিক্ষা বলে আখ্যা দিয়েছিল। এখন নিজেরাই সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। নিজেরাই বলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেবে। বিজেপি নেতারা আগে বলত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নাকি ভিক্ষা। এখন সেটাই ভগবানের প্রসাদ হয়ে গিয়েছে। বলছে ভোটে জিতলে মহিলাদের ২ হাজার টাকা করে দেবে। ‘দিদি সরাসরি বাংলার মা-বোনেদের অ্যাকাউন্টে যা দিচ্ছেন। মোদী-শাহ আধার প্যান লিঙ্ক করার নামে সেই হাজার টাকা আবার লুঠ করে নিচ্ছে। ১২টা রাজ্যে ক্ষমতায় আছে বিজেপি। এর মধ্যে কোনও একটা বিজেপি শাসিত রাজ্যেও সব মহিলাকে এক হাজার টাকা করে যদি দিতে পারে তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। তৃণমূল কংগ্রেস কথা দিয়ে কথা রাখে। একুশের ভোটে আপনারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে সামনে রেখে ভোট দিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেই তা চালু করেছে। আর বিজেপি শুধু কথা দিয়ে পালিয়ে যায়।’