এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রাজ্য নির্বাচন কমিশনেই আস্থা রাখল কলকাতা হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিনিধি: আদালতে বড় ধাক্কা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari) ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর(Adhir Ranjan Chowdhury)। তাঁদের দায়ের করা মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court) জানিয়ে দিল, রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন(Panchayat Election) নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্তই নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আদালত নির্বাচনে কোনও রকম হস্তক্ষেপ করবে না। তবে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে আইন মেনেই কাজ করতে হবে। সন্দেহ নেই আদালতের এই সিদ্ধান্ত বিরোধীদের কাছে বড়সড় ধাক্কা। তবে আদালত এটাও জানিয়েছে স্পর্শকাতর জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী(Central Force) নিয়োগ করা যায় কিনা তা ভেবে দেখা উচিত। বলে রাখা উচিত আদালত কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতেই হবে এমন কোনও রায় দেয়নি। তবে সব বুথে সিসিটিভি রাখার কথা বলা হয়েছে। 

আরও পড়ুন অযোধ্যা তলে ভোটের বাদ্যি বাজে, লড়াই তো পদ্ম আর ঘাসফুলে

বেশ কিছু দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ঠুকেছিলেন শুভেন্দু ও অধীর। তার মধ্যে প্রথম দাবি ছিল মনোনয়ন পেশের সময়সীমা বাড়ানো হোক। এই মামলার শুনানিকালে আদালত কমিশনের কাছে প্রস্তাব রেখেছিল মনোনয়ন পেশের সময়সীমা ২১ জুন পর্যন্ত বাড়াতে। সেই সঙ্গে প্রস্তাব রেখেছিল প্রতিদিন মনোনয়ন পেশের সময় দুপুর ৩টের পরিবর্তে বাড়িয়ে বিকাল ৫টায় করতে। সেক্ষেত্রে নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণের দিন ১৪ জুলাই করা হোক। কিন্তু এই সব ক্ষেত্রেই আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এদিন কিন্তু আদালত এই নিয়ে কোনও বাড়তি কিছু প্রস্তাব দেয়নি। বরঞ্চ সবটাই কমিশনের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ভোটের মনোনয়ন পেশের সময়সীমা বাড়ানো হবে কী হবে না তা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওপরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এখানেও ধাক্কা খেয়েছে বিরোধীদের দাবি। এমনকি বিরোধীদের দাবি ছিল কোনও অবসপ্রাপ্ত বিচারপতির পর্যবেক্ষণে নির্বাচন করানো হোক। কিন্তু সেই আর্জিও এদিন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন বাড়িতে জন্মাচ্ছিল ডেঙ্গুর মশা, ৫ মাসে ৩৫ জনের লক্ষের জরিমানা

বিরোধীদের দাবি ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হোক। সেই দাবি এদিন গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে উঠে এসেছে আদালতের পর্যবেক্ষণ। এদিন হাইকোর্ট জানিয়েছে রাজ্যের যে ৭টি জেলা স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করতে পারে কমিশন। এই ৭টি জেলার বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ হবে কিনা সেটাও রাজ্য নির্বাচন কমিশনই ঠিক করবে। তবে কোনও ভাবেই এই নির্বাচনে সিভিক ভলেন্টিয়ার ব্যবহার করা যাবে না। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের যে সব কর্মীরা ভোটের ডিউটি করবেন না তাঁদের শূন্যস্থান পূরণ করার জন্য রাজ্য সরকার চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের কাজে লাগাতে পারবে। তবে যে ৭টি স্পর্শকাতর জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর প্রস্তাব আদালত এদিন দিয়েছে কমিশনকে সেখানে এদিন থেকেই তা নামানোর কথা ভেবে দেখতে বলা হয়েছে। আদালত এটাও বলেছে রাজ্য যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী চায় তাহলে কেন্দ্র সরকারকে তা পাঠানো সুনিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে যে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না সেখানে সরকারি কর্মীরা ভোটের ডিউটি করলে তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শুক্রবার রাতে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে কলকাতায় এলেন নরেন্দ্র মোদি

রাজভবনের পিস রুম মহিলাদের পিস হেভেনে পরিণত হয়েছে, কটাক্ষ চন্দ্রিমার

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ রাজভবনের মহিলা কর্মীর

রবিবার থেকে জেলায় জেলায় শুরু হবে বৃষ্টি, সোমবার ভিজতে পারে কলকাতা

তৃণমূলের তারকা প্রচারের তালিকা থেকে বাদ পড়লেন কুণাল

প্রথম চেষ্টাতেই মাধ্যমিক পাশ করে চমকে দিলেন ফুটপাতের প্রিয়া

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর