এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

গৌড় বঙ্গের মাটিতে সন্মুখ সমরে তৃণমূল-বিজেপি, অনুঘটক বাম-কংগ্রেস

নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী এবং প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গণি খানের জেলা মালদা(Malda)। দীর্ঘকালীন সময় ধরে এই জেলার পরিচিতি কংগ্রেসি(INC) জেলা হিসাবেই। বাম জমানায় অবশ্য বামেরাও(Left) জেলার কিছু কিছু এলাকায় নিজেদের প্রভাব বাড়িয়েছে। জেলা পরিষদ থেকে পঞ্চায়েত সমিতিও দখল করেছে। কিন্তু জেলাতে কংগ্রেসের প্রভাব থেকেই গিয়েছিল। এমনকি কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূলের জন্মের পরেও এই জেলায় কংগ্রেসের প্রভাব অক্ষুণ্ণ থেকে গিয়েছিল। বাম জমানার অবসানের পরেও তা অক্ষুণ্ণ থাকে। কিন্তু ছবিটা আমূল বদলে যায় ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে(Panchayat Election)। সেই বছর মাত্র ১টি পঞ্চায়েত সমিতি গিয়েছিল বাম-কংগ্রেসের দখলে। বাকি সবই গিয়েছিল তৃণমূলের(TMC) দখলে। কিন্তু সব থেকে চমকপ্রদ ফল সামনে আসে ২০১৯’র লোকসভা ভোটে। সেবার জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১টি বিজেপি(BJP) ও অপর ১টি কংগ্রেসের দখলে যায়। গণি খানের জেলায় বিজেপির সেই উত্থান জেলার রাজনীতিতে কার্যত আলোড়ন ফেলেছিল। সেই জেলাতেই এবার পঞ্চায়েত ভোটে সন্মুখ সমরে নেমেছে তৃণমূল আর বিজেপি।

আরও পড়ুন একসময়ের লালদুর্গে এখন দাপট ঘাসফুলের, নজরে পশ্চিম বর্ধমান

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মালদার বুকে বিজেপির জয়, জেলার রাজনীতিতে যে ভূমিকম্প ঘটিয়েছিল তার রেশ পড়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে। কার্যত অঘোষিত ভাবে ধর্মের ভিত্তিতে মেরুকরণ ঘটে যায় মালদার ভোটারদের মধ্যে। জেলার সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক একচেটিয়া ভাবে চলে যায় তৃণমূলের দখলে। তার জেরেই জেলার ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৮টিতে জয় পায় তৃণমূল। ৪টিতে জয়ী হয় বিজেপি। তৃণমূলের জন্মের পরে সেই প্রথম তৃণমূল মালদার মাটিতে এতবড় জয় পেয়েছিল। একইসঙ্গে সেই নির্বাচনে বিজেপিও জেলা থেকে সর্বাধিক আসন পেয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে যে জেলা কংগ্রেসি জেলা হিসাবে জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে পরিচিত ছিল সেখানেই কিনা বেমালুম উবে যায় কংগ্রেস। নিশ্চিহ্ন হইয়ে যায় কংগ্রেসও। কার্যত সকলের বুঝতে বাকি থাকেনি যে, জেলার সংখ্যালঘুজনতা, তা তিনি দক্ষিণপন্থী হোন কী বামপন্থী কী কংগ্রেসি, তাঁরা জেলায় বিজেপির উত্থান ঠেকাতে একচেটিয়া ভাবে ভরসা রাখেন তৃণমূলের ওপরে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরে। এবারেও সেই ভরসার মাটিতেই দাঁড়িয়ে জেলা দখলের লড়াইয়ে নামছে তৃণমূল। তাঁদের মূল লড়াই অবশ্যই বিজেপির বিরুদ্ধেই। সেই লড়াইয়ে কিছু কিছু এলাকায় নির্ণয়ক হয়ে উঠতে চলেছে বাম ও কংগ্রেস।

আরও পড়ুন বালির ঘাট, ইটভাটায় ৫০০ টাকার কুপনে চাঁদা তুলছে বিজেপি

মালদা জেলায় রয়েছে মোট ১৫টি ব্লক। জেলা পরিষদের আসনের সংখ্যা ৪৩। অর্থাৎ ২২জন সদস্য হাতে থাকলেই সেখানে বোর্ড গঠন করা যাবে। বামনগোলা ও পুরাতন মালদা, এই দুটি ব্লক থেকে জেলা পরিষদের ২জন করে মোট ৪জন সদস্য নির্বাচিত হবেন। বাকি ১৩টি ব্লক থেকেই ৩জন করে মোট ৩৯ জন সদস্য নির্বাচিত হবেন। এই ৪৩টি আসনের মধ্যে একুশের বিধানসভা ভোটের নিরিখে বিজেপি এগিয়ে ১৮টি আসনে। বাকি ২৫টি আসনে এগিয়ে তৃণমূল। সেই হিসাবে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল এগিয়ে থেকেই লড়াই শুরু করবে। তবে সেই লড়াই খুব একটা মসৃণ হবে না। কেননা একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে ঠেকানোর যে মরিয়া চেষ্টা ছিল, যা জেলার সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ককে তৃণমূলের ছত্রছায়ায় নিয়ে চলে এসেছিল, সেই দায় এবার আর নেই। আর তাই বিউজেপি ভোট যেমন কিছুটা হলেও বামের ঘরে ফিরতে পারে তেমনি তৃণমূলেরও কিছু ভোট কংগ্রেসের ঘরে ফিরতে পারে। হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল, রতুয়া এই ৩টি এলাকার ৬টি ব্লকের ১৮টি আসনের ফলাফল নির্ণয়ে নির্ণায়ক হইয়ে উঠবে বাম-কংগ্রেস ভোট। কালিয়াচলের ৩টি ব্লকের ৯টি জেলা পরিষদ আসনেও একই গল্প।

আরও পড়ুন বউবাজারে আবারও ফাটল, আতঙ্ক কবি সুভাষেও

কার্যত লোকসভা নির্বাচনের আগে জেলার কংগ্রেস নেতারা আপ্রাণ ভাবে নিজেদের হারানো মাটি ফিরে পেতে চেষ্টা করবে। যদিও তৃণমূলের আশা জেলার সংখ্যালঘু ভোটবাঙ্ক তাঁদের দখলেই থাকবে এবং তাঁরাই হাসতে হাসতে জেলা পরিষদ দখল করবেন। জেলার ১৫টি ব্লকের সব পঞ্চায়েত সমিতিও তাঁদের দখলে আসবে। জেলার অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েতও তাঁদের দখলেই আসবে। তবে সব হিসাব তো আর সব সময় মেলে না। যেমন মেলেনি উনিশের ভোটে। যেমন মেলেনি একুশের ভোটে। পর পর দুটি নির্বাচনেই জেলায় চমকে দেওয়ার মতো ফল উঠে এসেছিল। এবারেও যে সেই ফল আসবে না সেই কথা জোর গলায় কিন্তু বলার সময় আসেনি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

তাপপ্রবাহের সতর্কতা বর্ষা নিয়ে সুখবর দিল হাওয়া অফিস 

শান্তনুর যাত্রাভঙ্গের আশায় প্রহর গুণছেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের ক্ষুব্ধ ভোটাররা

তৃণমূল কর্মীর  রহস্যমৃত্যু, গোসাবায় ছড়িয়ে উত্তেজনা

তীব্র দাবদাহের জেরে রাস্তায় নামানো হচ্ছে বাড়তি এসি বাস, নয়া পদক্ষেপ সরকারের

কাঁথিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি  মমতার

ভোটের ডিউটিতে পুলিশ কর্মীদের সাম্মানিক চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর