এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

একসময়ের লালদুর্গে এখন দাপট ঘাসফুলের, নজরে পশ্চিম বর্ধমান

নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন ধরে দাবি ছিল বর্ধমান জেলাকে ভাগ করা হোক দুইভাগে। আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলকে পৃথক জেলার তকমা দেওয়া হোক। কংগ্রেস জমানাতে তো বটেই, বাম জমানাতেও সেই দাবিতে শিলমোহর পড়েনি। কিন্তু সেই দাবি মেনে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তাঁর হাত ধরেই বর্ধমান জেলা ভেঙে পৃথক দুটি জেলা তৈরি করা হয়। কৃষি ভিত্তিক কাটোয়া, কালনা, বর্ধমান উত্তর সদর এবং বর্ধমান দক্ষিণ সদর মহকুমা নিয়ে গড়ে ওঠে পূর্ব বর্ধমান জেলা এবং আসানসোল ও দুর্গাপুর মহকুমা নিয়ে গড়ে ওঠে পশ্চিম বর্ধমান জেলা। এখন সেই পশ্চিম বর্ধমান(Paschim Burdhwan) জেলাতেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayat Election) প্রচার চলছে জোর কদমে। জেলা পরিষদ দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকছে তৃণমূলই। তবে জমি যে একদম ফাঁকা পাচ্ছে তাঁরা তা কিন্তু নয়। তাঁদের লড়াই এবার কঠিন বাম-বিজেপি-কংগ্রেসের অলিখিত জোটের জন্য।

আরও পড়ুন বালির ঘাট, ইটভাটায় ৫০০ টাকার কুপনে চাঁদা তুলছে বিজেপি

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে পশ্চিম বর্ধমান জেলা গঠিত হলেও এই জেলার জনতা তৃণমূলের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিতে কিন্তু বেশিদিন সময় নেননি। ২০১৭ সালে গঠিত হয় এই নতুন জেলাটি। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় তৃণমূল(TMC) জেলা পরিষদ থেকে পঞ্চায়েত সমিতি মায় গ্রাম পঞ্চায়েতেও নিরঙ্কুশ আধিপত্য কায়েম করেছিল। কিন্তু ঠিক তার এক বছর বাদে লোকসভা নির্বাচনে জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রেই ফুটেছিল পদ্মফুল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে অবশ্য তৃণমূল তাঁদের হারানো মাটি ফিরে পায়। জেলার ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৬টিতেই জয়ী হয় তৃণমূল। ৩টি আসনে জেতে বিজেপি(BJP)। এর কিছুদিন বাদেই আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও জয়জয়কার হয় তৃণমূলের। আর এখন তো গোটা জেলাতেই ঘাসফুলের দাপট প্রশ্নাতীত। তবুও আসছে চ্যালেঞ্জ। সন্মিলিত বিরোধিতার চ্যালেঞ্জ। বাম(Left), বিজেপি আর কংগ্রেসের অঘোষিত মহাজোটের চ্যালেঞ্জ।

আরও পড়ুন বউবাজারে আবারও ফাটল, আতঙ্ক কবি সুভাষেও

পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের মোট আসন মাত্র ১৮টি। কাঁকসা ও অণ্ডাল এই দুটি ব্লক থেকে ৩টি করে জেলা পরিষদ আসন আছে। বাকি ৬টি ব্লকের অর্থাৎ বারাবণি, সালানপুর, রানীগঞ্জ, জামুড়িয়া, পাণ্ডবেশ্বর ও ফরিদপুর ব্লক থেকে রয়েছে ২টি করে আসন। জেলা পরিষদে বোর্ড গড়তে প্রয়োজন ১০জন সদস্যের সমর্থন। সেটা তৃণমূলের পক্ষে জোগাড় করা খুব একতা কঠিন নয়। কেননা জেলা পরিষদের মাত্র ৬টি আসনে বিরোধীরা লড়াই করার মতো জায়গায় আছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিসংখ্যান তৃণমূলের কাছে কখনই চ্যালেঞ্জ হইয়ে উঠবে না। তবে লড়াই হবে অবশ্যই। কাঁকসা, জামুড়িয়া, রানীগঞ্জের মতো এলাকায় যেগুলি একসময়কার বাম দুর্গ ছিল পরিবর্তনের পরেও। তবে জেলায় বিজেপির উত্থান সেই সব দুর্গকে এখন অতীত করে দিয়েছে। তবে জেলায় বিজেপির প্রভাব এখনও রয়ে গিয়েছে। ফরিদপুর, অণ্ডাল ও সালানপুর ব্লকে এখনও বিজেপি প্রভাব রয়ে গিয়েছে। লড়াই হবে সেই সব জায়গায়।  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বন্ধু কাঞ্চনকে সঙ্গে নিয়ে কেশপুরে ভোট প্রচারে দেব

ধারের টাকা ফেরত না দেওয়া নিয়ে বচসা, মা-মেয়েকে পিটিয়ে খুন

৭ দিনের মধ্যে মুখোশ খুলব, টুইটে হুঁশিয়ারি অভিষেকের

‘মায়ের ঝাণ্ডার কি দাম! যে কড়াইয়ে রান্না করেন, তা মাথায় মারলে বুঝবি’

‘চলুন বদলাই, চলুন পাল্টাই’, মালদায় মমতার মুখে পরিবর্তনের ডাক

দেবাশিষের সুপ্রিম ধাক্কা, কমিশনের সিদ্ধান্তে সিলমোহর শীর্ষ আদালতের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর