এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বালির ঘাট, ইটভাটায় ৫০০ টাকার কুপনে চাঁদা তুলছে বিজেপি

নিজস্ব প্রতিনিধি: পঞ্চায়েত ভোটের আবহে কুপন বিতর্ক জড়িয়ে গেল বঙ্গ বিজেপি(Bengal BJP)। তৃণমূলের(TMC) অভিযোগ, ৫০০ টাকার কুপন(Coupon) ছাপিয়ে রাজ্যজুড়ে বিজেপি চাঁদা তুলছে। ওই চাঁদার রসিদ পাঠিয়ে কার্যত বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব তাঁদের দলের জেলা নেতাদের তোলাবাজির লাইসেন্স পাঠিয়ে দিয়েছে। সঙ্গে বলে দেওয়া হয়েছে, ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত জেলার নেতারা এই কুপনে চাঁদা তুলতে পারবেন। সেই চাঁদার রসিদে আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi), রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার ছবি রয়েছে। ওই রসিদ দেখিয়েই নাকি এখন বিজেপির নেতারা জেলায় জেলায় নানান বালির ঘাট(Sand Mines) আর ইটভাটা(Brickfields) থেকে মোটা টাকা তুলছে। যারা টাকা দিতে রাজী হচ্ছেন না তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে যে গরু পাচার ও কয়লা পাচার মামলায় তাঁদের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। তখন ED-CBI তাঁদের ঢেকে পাঠাবে।

আরও পড়ুন বউবাজারে আবারও ফাটল, আতঙ্ক কবি সুভাষেও

জানা গিয়েছে, তৃণমূলের তোলা অভিযোগ খুব একটা মিথ্যা নয়। দু’ধরনের কুপনে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। একটি কুপনে চাঁদার অঙ্ক বেশি। অন্য কুপনে একটু কম। একটি কুপনের রং গেরুয়া। অন্য কুপনটি হলুদ রঙের। বিজেপি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিল্লি থেকে রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই মোটা অঙ্কের টাকা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তা কাজে আসেনি। অনেক জেলাতেই টাকা নয়ছয় করা হয়েছিল বলে দলেরই একাংশ অভিযোগ করে। বিধানসভা নির্বাচন থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব শিক্ষা নিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেভাবে জেলাগুলিতে টাকা পাঠানো হয়নি। জেলার নেতারা খরচে রাশ টেনেছেন। নির্বাচনের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীদের ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীদের কিছু টাকা বেশি দেওয়া হচ্ছে। জেলা পরিষদের প্রার্থীদের ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। অন্য খাতেও সেভাবে টাকা পাঠানো হয়নি। উল্টে জেলায় জেলায় কুপন পাঠিয়ে নেতাদের পাল্টা চাপ দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের টাকা তুলে ট্রেজারের কাছে জমা করতে বলা হয়েছে। নেতাদের কাছে কয়েকদিন আগেই রসিদ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা প্রায় এক বছর ধরে চাঁদা তুলবে।

আরও পড়ুন শুভেন্দুকে ধাক্কা দিয়েই মমতার পাশে দাঁড়ালেন মোদি, বাড়ল মুখ্যসচিবের মেয়াদ

তবে প্রকাশ্যে বিজেপির নেতারা এই চাঁদা তোলা নিয়ে ভিন্ন দাবি করছেন। তাঁদের দাবি, পার্টি ফান্ডের জন্য তারা দলের নেতাদের কাছে এই কুপন দিয়ে চাঁদা নিচ্ছে। এটা অন্যায় কিছু নয়। বালির ঘাট বা ইটভাটায় চাঁদা তোলার অভিযোগ ঠিক নয়। কিন্তু তৃণমূলের দাবি, এই রসিদ পাঠিয়ে বিজেপি জেলা নেতাদের তোলাবাজির লাইসেন্স পাঠিয়েছে। বিভিন্ন বালির ঘাট, ইটভাটায় গিয়ে এই রসিদ দেখিয়ে চাঁদা তোলা হচ্ছে। বিজেপি বড় বড় সংস্থাগুলি থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে। এধরনের কুপন সামনে এনে তাদের দু’টি উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে। প্রথম উদ্দেশ্য জেলার নেতাদের করে খাওয়ার বন্দোবস্ত করা। এছাড়া এই কুপন সামনে এনে তারা গিমিক দিতে চেয়েছে। নেতাদের কাছে থেকে চাঁদা নিয়ে দল চালাচ্ছে এটা প্রমাণ করতে চাইছে। কিন্তু ওদের দলের আয়ের উৎস অন্য রয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সিটি সেন্টারে ভোটদানে উৎসাহ প্রদান প্রশাসনের, তৈরি সেলফি জোন

ঘাটালে প্রচারে যেতে কাঞ্চনকে অনুরোধ দেবের

রবিবার কলকাতা তেঁতে পুড়ে যাবে, উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় ঝড় -বৃষ্টির পূর্বাভাস

নেই কদর, নেই সম্মান, অসীমের পাশে নেই মতুয়া মহাসঙ্ঘ

‘অমিতাভ বচ্চন আর শত্রুঘ্ন সিনহার ভারত রত্ন পাওয়া উচিত ছিল’ অভিমত মমতার

লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হবে না, আশ্বাস অভিষেকের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর