নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে(Panchayat Election) প্রায়শই এবং বহু জায়গায় দেখা যায় একই আসনে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন একই পরিবারের একাধিক সদস্য। তাঁদের নিয়ে সংবাদমাধ্যমেও অনেক খবর হয়। কিন্তু স্বামীর-স্ত্রীর(Wife and Husband) ঝগড়া এই ভোটের ময়দানে সামনে চলে এসেছে প্রবল ভাবে এটা চট করে দেখা যায় না। কেননা সেই সব বিবাদ থাকলেও বাড়ির কেউ ভোট প্রার্থী হলে বা দুইজনের কোনও একজন বা দুইজনই প্রার্থী হলে যাবতীয় ঝগড়া বিবাদ দূরে সরিয়ে রাখা হয়। তখন বাইরে একটা এমন ভাব বা ভান দেখানো হয় যে দেখলে মনেই হবে না তাঁদের মধ্যে কোনও বিবাদ আছে। কিন্তু সেই সবের বাইরে গিয়ে এবার স্ত্রী কিনা সংবাদমাধ্যমের সামনেই জুতো মেরে বসলেন প্রার্থী স্বামীর দেওয়াল লিখনে! ভাবা যায়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার বজবজ-২ ব্লকের দক্ষিণ বাওয়ালি এলাকায়।
আরও পড়ুন বিদ্যুতের বিরুদ্ধে FIR বিশ্বভারতীরই এক আধিকারিকের
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বাওয়ালি এলাকার ২০২ নম্বর বুথের গ্রামসভায় বিজেপির(BJP) প্রার্থী হয়েছেন অভয় ভোঁড়। ২০১৮ সালে রায়দিঘি থানার মহামায়া গ্রামের বাসিন্দা অনুসূয়ার সঙ্গে নোদাখালি থানার অভয়ের বিয়ে হয়। এখন সেই অনুসূয়াই যেখানে যেখানে তাঁর স্বামীর নামে দেওয়াল লিখন দেখছেন, সেখানে সেখানে তিনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে স্বামীর সেই দেওয়াল লিখনে জুতো মারছেন। কেননা তাঁর অভিযোগ, ‘যে স্বামী নিজের স্ত্রী ও সন্তানকে দেখেন না, তিনি ভোটে জিতলে কী করে সমাজের উন্নয়ন করবেন? আমার স্বামীর ভোটে দাঁড়ানোর কোনও যোগ্যতাই নেই।’ অনুসূয়ার দাবি, তাঁদের এক বছরের একটি মেয়ে আছে। সেই মেয়ে হওয়ার পর থেকেই সংসারে যাবতীয় অশান্তির শুরু। প্রাণে মারার হুমকি ও টাকা চাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেই কারণেই এক মাস আগে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন। জুন মাসের ৩০ তারিখ থানায় অভিযোগও জানিয়েছেন। অনুসূয়ার এই দাবি ও এহেন ঘটনাকে ঘিরে এখন সব থেকে চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। তাঁদের দাবি, অভয় এই বিষয়টি তাঁদের কাছে গোপন করে রেখেছিলেন। তাঁরা বিষয়টি জানলে অভয়কে টিকিটই দিতেন না।