নিজস্ব প্রতিনিধি: মেরুকরণটা স্পট হয়ে গিয়েছিল উনিশের ভোটেই। বাংলার(Bengal) মানুষ ভাগ হয়ে যাচ্ছেন দুই শিবিরে। তৃণমূল(TMC) ও বিজেপি(BJP)। সেই নির্বাচনেই বাংলা থেকে বিলুপ্ত হয়েছিল বামেরা। কংগ্রেস(INC) তবু টিমটিম করে জ্বলছিল ২টি লোকসভা কেন্দ্রে। একুশের ভোটে সেই কংগ্রেসও গেল বিলুপ্ত হয়ে বাংলার বিধানসভা থেকে। সঙ্গে দোসর বাম(Left)। কার্যত সেই সময় থেকেই বাংলায় যেন শুধু ২টি দল, তৃণমূল আর বিজেপি। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলার ৩-৪টি জেলা পরিষদ ছাড়া বাকি সব জেলা পরিষদই ছিল বিরোধী শূণ্য। ২০২৩ সালে মূলত বিজেপির জন্যই কিন্তু সেই ছবিটা বদলে যেতে চলেছে। এবারে একের পর এক জেলা পরিষদে খাতা খুলতে চলেছে বিজেপি। তবে এবারেও অন্তত ৫টি জেলা পরিষদ(Zilla Parishad) বিরোধী শূন্য হয়ে থেকে যাচ্ছে। অর্থাৎ সেখানে তৃণমূল ভিন্ন আর কেউই জিতবে না। ভোট বিশ্লেষকদের তেমনটাই দাবি।
আরও পড়ুন সুজাতা জিততে পারেন, সৌমিত্রের জমিতে থাবা শাসকের
জানা গিয়েছে, বাংলায় এবারে ৫টি জেলা পরিষদ বিরোধী শূণ্য থাকতে চলেছে। এই ৫টি জেলা হল হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম। সেই তালিকায় সংযোজিত হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর দিনাজপুর এবং ঝাড়গ্রামও। তবে বাদ বাকি সব জেলাতেই খাতা খুলতে চলেছে বিরোধীরা। বিশেষ করে বিজেপি। অর্থাৎ জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া – এই ১০টি জেলার জেলা পরিষদেই থাকবে বিরোধী দলের প্রতিনিধিত্ব। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদে ভেলকি দেখাতে পারে বিজেপি। কিন্তু এই দুটি জেলা পরিষদ বাদ দিয়ে বাকি সব জেলা পরিষদই তৃণমূলের দখলে যেতে চলেছে বলেই তাঁদের অনুমান। একই সঙ্গে তাঁদের দাবি, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম – এই ৫টি জেলার ৮৫টি ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতিও থাকবে শাসক দল অর্থাৎ তৃণমূলের দখলেই।