নিজস্ব প্রতিনিধি: একা কুম্ভ হয়ে লড়লেন শুধুমাত্র নাজমুল হাসান শান্ত। তিনি একাই করেছেন ৮৯ রান। আর দলের বাকি ১০ ব্যাটারের অবদান সবমিলিয়ে ৬৭ রান। আর যার ফলে বৃহস্পতিবার এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১৬৪ রানেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশের ব্যাটিং। নির্ধারিত ৫০ ওভারও খেলতে পারেননি টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটারদের জঘন্য পারফরম্যান্সের পরেই প্রশ্ন উঠেছে, কোটি-কোটি টাকা দিয়ে চণ্ডিকা হাথরুসিংহের মতো তৃতীয শ্রেণির কোচকে কেন পুষছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড?
চোটের কারণে চলতি এশিয়া কাপে খেলছেন না তামিম ইকবাল। জ্বরের কারণে ছিটকে গিয়েছেন লিটন দাস। দুই অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি বাংলাদেশকে ভালোমতো ভোগাবে বলে আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন বাস্তবে ঘটলও তাই। ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দেশের জার্সি গায়ে অভিষেক ঘটেছিল তানজিদ হাসানের। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে লঙ্কান স্পিনার মহীশ তিকসানার বলে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। অন্য ওপেনার মহম্মদ নাইমকে (১৬) ফেরান ধনঞ্জয় ডি’সিলভা। চার নম্বরে ব্যাট করতে এসে বেশিক্ষণ টেকেননি টাইগার অধিনায়ক সাকিব। মাতিশা পাতিরানার অফ স্টাম্পের বাইরের বাড়তি বাউন্সের বলে খোঁচা মেরে মাত্র ৫ রান করে ফিরলেন। ৩৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
এর পরে দলের তরুণ ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ঠাণ্ডা মাথায় খেলতে থাকেন দুজনে। দাসুন শানাকার অফ স্টাম্পের বাইরের বল সীমানার বাইরে পাঠিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে চতুর্থ অর্ধশতরান পূর্ণ করেন নাজমুল। শানাকাকে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে যান হৃদয়। শ্রীলঙ্কার জোরাল আবেদনে সাড়া দেননি ভারতীয় আম্পায়ার জয়ারমন মদনগোপাল। শেষ পর্যন্ত রিভিউ নিয়ে শেষ হাসি হাসেন শানাকা। ৪১ বলে ২০ রান করে ফেরেন হৃদয়। টাইগারদের অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিমকে (১৩) ফিরিয়ে বাংলাদেশকে জোর ধাক্কা দেন মাতিশা পাতিরানা। তার পরে নিয়মিতভাবে পড়তে থাকে বাংলাদেশের উইকেট। একের পর এক সতীর্থকে ক্রিজে যেতে আসতে দেখে ধৈর্য হারিয়ে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত (৮৯)। শেষ পর্যন্ত ৪২.৪ ওভারে ১৬৪ রানে গুঁড়িয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। শ্রীলঙ্কার পক্ষে মাতিশা পাতিরানা ৩২ রানে চার উইকেট নিয়েছেন।