আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রবিবার ক্রিকেট জীবনের শেষ একদিনের ম্যাচ খেলতে নামবেন অ্যারন ফিঞ্চ। খেলা নিউলিজ্যান্ডের বিরুদ্ধে। কালকের পর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আর ৫০ ওভারের ক্রিকেট ম্যাচে ফিঞ্চকে দেখতে পাওয়া যাবে না। তবে টি-টোয়েন্টিতে তাকে দেখা যাবে।
অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে গিয়ে ফিঞ্চ বলেন- বেশ উপভোগ্য যাত্রা। দুর্লভ কিছু ঘটনার সাক্ষী ছিলাম। অস্ট্রেলিয়ার মতো একটি দলের হয়ে খেলাটা, আমার মতে সৌভাগ্যের। দলের প্রবীণ সদস্যরা সব সময় আমার পাশে ছিল। পাশে ছিল দলের নবীন প্রজন্মের ক্রিকেটারেরাও। আমার মনে হয়, দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার নতুন কাউকে প্রয়োজন। যিনি দলকে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে যেতে পারবেন। যার নেতৃত্বে আগামী বিশ্বকাপে দল ভালো ফল করতে পারবে। আমার এই যাত্রার পিছনে যাদের সমর্থন, সহযোগিতা রয়েছে, তাদের প্রত্যেকের কাছে কৃতজ্ঞ রইলাম।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ফিঞ্চের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স একেবারেই নজরকাড়ার মত নয়। ১৩টি একদিনের ম্যাচ থেকে তাঁর রান মাত্র ১৬৯। ১৩টি একদিনের ম্যাচের মধ্যে শেষ সাতটি একদিনের ম্যাচে ফিঞ্চের রান মাত্র ২৬। আর শেষ ১২টি ইনিংসে পাঁচবার শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছে ফিঞ্চকে।
ফিঞ্চের ক্রিকেট জীবনে সব থেকে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ২০১৫-য়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডের অন্যতম সদস্য ছিলেন ফিঞ্চ। একদিনের ম্যাচে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের মোট রান ৫,৪০১। একদিনের ম্যাচে ১৭টি সেঞ্চুরির মালিক। সর্বোচ্চ রান ১৫৩ নটআউট। ফিঞ্চের নেতৃত্বে ২০১৯-য়ের বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডের কাছে তাদের পরাজিত হতে হয়।