নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ২০১৯ সালে আইপিএলে বেটিংয়ের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল ক্রিকেট মহল। তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছিল সিবিআইয়ের হাতে। এবার প্রমাণের অভাবে ওই মামলার তদন্ত বন্ধে করে দেওয়ার কথা জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত ২৩ ডিসেম্বর দিল্লির আদালতে ওই ক্লোজার রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। তবে বেটিং নিয়ে তদন্ত বন্ধ করা হবে কিনা, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।
পাকিস্তান থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের আইপিএলে বেটিং নিয়ে ২০২২ সালের মে মাসে দুটি এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। প্রথম আফআইআরে বেটিংয়ের জড়িত থাকার অভিযোগে দিল্লির রোহিনীর বাসিন্দা দিলীপ কুমারের পাশাপাশি হায়দরাবাদের বাসিন্দা গুররাম বাসু এবং গুররাম সতীশের নাম উল্লেখ করা হয়। দ্বিতীয় এফআইআরে রাজস্থানের চার বাসিন্দা সজ্জন সিং, প্রভুলাল মীনা, রাম অবতার এবং অমিত কুমার শর্মার উল্লেখ করা হয়।
সিবিআইয়ের তরফে প্রথমে দাবি করা হয়, ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বেটিংয়ে অভিযুক্ত গুররাম সতীশের ছয়টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৪ কোটি ৫৫ লাখ জমা পড়েছিল। একই সময়ে আর এক অভিযুক্ত গুররাম বাসুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা জমা পড়েছিল। ওই টাকা জমা পড়ার পিছনে দুজনে কোনও বাস্তবসম্মত কারণ দেখাতে পারেননি। কিন্তু প্রায় পৌনে দু’বছর ধরে তদন্ত চালানোর পরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতে জানিয়েছে, ২০১৯ সালে আইপিএলে বেটিংয়ের অভিযোগ নিয়ে প্রামাণ্য কোনও নথি মেলেনি। ফলে তদন্ত চালিয়ে কোনও লাভ হবে না।