নিজস্ব প্রতিনিধি, আমদাবাদ: ৭০ রানের মধ্যে ফিরে গিয়েছিলেন দলের প্রথম চার ব্যাটার। ফলে সবাই ধরেই নিয়েছিলেন ঘরের মাঠে শুভমন গিলদের কাছে হেরে্ ফিরতে হবে শিখর ধাওয়ানদের। কিন্তু তার পরেই বদলে গেল ম্যাচের রং। বলা ভাল বদলে দিলেন শশাঙ্ক সিংহ আর আশুতোষ শর্মা। দুজনে ঝড় তুললেন মাঠে। তুলোধনা করলেন গুজরাতের বাঘা-বাঘা বোলারদের। শেষ পর্যন্ত দুজনের ব্যাটিং বিক্রমেই এক বল বাকি থাকতে হাতে তিন উইকেট নিয়ে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিল পঞ্জাব কিংস। ২৯ বলে ৬১ রানের এক অভিশ্বাস্য ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে গেলেন শশাঙ্ক। শেষ ওভারের প্রথম বলেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন বটে আশুতোষ, কিন্তু ১৭ বলে ৩১ রান করে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার আমদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে অধিনায়ক শুভমন গিলের অপরাজিত ৮৯ এবং সাই সুদর্শনের ঝোড়ো ৩৩ রানের দৌলতে প্রথমে ব্যাট করে ১৯৯ রান তুলেছিল গুজরাত টাইটান্স। জয়ের জন্য ২০০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে পঞ্জাব। মাত্র ১ রান করে উমেশ যাদবের বলে দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন শিখর ধাওয়ান। সেই ধাক্কা সামলে দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান জনি বেয়ারস্টো ও প্রভসিমরান সিং। দুজনে ৩৫ রানের জুটি গড়েন। বেয়ারস্টোকে (২২) ফিরিয়ে ফের ধাক্কা দেন নূর আমেদ। খানিকবাদে নূরের বলেই সাজঘরের পথ ধরেন প্রভসিমরান (৩৫)। পরের ওভারে ফিরে যান ইংলিশ অলরাউন্ডার স্যাম কুরান (৫)। ৭০ রানে চার উইকেট খুঁইয়ে বিপাকে পড়ে পঞ্জাব। তার পরেই ঘুরতে থাকে ম্যাচের রং। সিকান্দার রাজা ও শশাঙ্ক সিং পঞ্চম উইকেটে ৪১ রান যোগ করে দলকে শতরানের গণ্ডি পার করিয়ে দেন। ১৫ রান করে মোহিত শর্মার বলে ফেরেন রাজা।
এর পরে জিতেশ শর্মাকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান শশাঙ্ক। হারের আশঙ্কাকে উড়িয়ে বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন। দুজনে মিলে দলকে দেড়শো রানের গণ্ডি পার করিয়ে দেন। ৮ বলে ১৬ রান করে আউট হয়ে যান জিতেশ। তখনও পঞ্জাবের অতি বড় সমর্থক ভাবতেও পারেননি দল জিতবে। কিন্তু অসম্ভবকেই সম্ভব করলেন বদলি খেলোয়াড় হিসাবে খেলতে নামা আশুতোষ শর্মা। গুজরাতের বোলারদের বিরুদ্ধে নির্দয়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন। তাঁর ও শশাঙ্কের ব্যাটিং বিক্রমে শেষ ওভারে জয়ের জন্য পঞ্জাবের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৭ রান। শেষ ওভারের প্রথম বলে দর্শন নালকান্ডের বল মাঠের বাইরে পাঠাতে গিয়ে সাজঘরে ফিরলেন আশুতোষ। আউট হওয়ার আগে ১৭ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে করে গেলেন ৩১। শেষ পর্যন্ত এক বল বাকি থাকতেই দলকে জয় এনে দেন শশাঙ্ক।