নিজস্ব প্রতিনিধি, বেঙ্গালুরু: পুরনো চাল ভাতে বাড়ে, ফের বুঝিয়ে দিলেন বিরাট কোহলি। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় চাপে পড়ে যাওয়া রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে একাই টেনে নিয়ে গেলেন। তাঁর ৫৯ বলে অপরাজিত ৮৩ রানের দৌলতেই শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ১৮২ রান তুলল আরসিবি। শেষের দিকে ৮ বলে ২০ রানের ঝোড়ো ইনিংসও খেলেন দীনেশ কার্তিক। কলকাতার হয়ে হর্ষিত রানা ও আন্দ্রে রাসেল ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
শুক্রবার রাতে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে আরসিবিকে ব্যাট করতে পাঠান কলকাতার অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। আগের ম্যাচের প্রথম একাদশে একটি পরিবর্তন এনে মাঠে নেমেছিল নাইটরা। সুযশ শর্মার পরিবর্তে কলকাতার প্রথম একাদশে এলেন অনুকূল রায়। শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে থাকেন বেঙ্গালুরুর দুই ওপেনার বিরাট কোহলি ও অধিনায়ক ফ্যাপ ডুপ্লেসি। দ্বিতীয় ওভারে ডুপ্লেসিকে ৮ রানে ফিরিয়ে বেঙ্গালুরু শিবিরে আঘাত হানেন হর্ষিত রানা। এর পরে তিন নম্বরে মাঠে নেমেই ঝড় তোলেন ক্যামেরন গ্রিন। তাঁর সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলতে থাকেন কোহলিও। মাত্র ৪৯ বলেই ৬৫ রান যোগ করেন দুজনে। শেষ পর্যন্ত জুটি ভাঙেন আন্দ্রে রাসেল। সবুজ ঝড় তোলা ক্যামেরন গ্রিনকে (২০ বলে ৩৩) থামান তিনি। দ্বাদশ ওভারে বরুণ চক্রবর্তীর দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ক্রিস গেইলের রেকর্ড ভাঙেন কোহলি। পরের পরের বলেই অর্ধশতরানে পৌঁছন। আর সেই অর্ধশতরানে পৌঁছতে ২টি চার এবং ৩টি ছক্কা হাঁকান।
বেঙ্গালুরুর হয়ে চার নম্বরে নামা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও চালিয়ে খেলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বেশিক্ষণ টিঁকতে পারেননি তিনি। পঞ্চদশ ওভারে বল করতে এসে তাঁকে সাজঘরে ফেরান ৫০০ তম টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামা সুনীল নারাইন। আউট হওয়ার আগে ১৮ বলে ২৮ রান করেন ম্যাক্সওয়েল। বেঙ্গালুরুর হয়ে ৫ নম্বরে ব্যাট করতে রজত পাতিদার এদিন ফের ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর অবদান মাত্র তিন রান। বড় রানের ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন অনুজ রাওয়াতও (৩)। সাত নম্বরে নেমে শেষের দিকে চালিয়ে খেলেন দীনেশ কার্তিক। তবে শেষ বলে রান নিতে গিয়ে আউট হয়ে যান তিনি। ৮ বলে করেছেন ২০ রান। বিরাট ৫৯ বলে চারটি চার ও চারটি ছক্কার সাহায্যে ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন।